This is default featured slide 1 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com

This is default featured slide 2 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com

This is default featured slide 3 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com

This is default featured slide 4 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com

This is default featured slide 5 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com.

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

"ইসলামের দৃস্টিতে হস্তমৈথুন"

বর্তমান যুবসমাজের মাঝে এটি ব্যাপক হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অনেকেই এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
আসুন আজ আমরা দেখি ধর্মীয়ভাবে হস্তমৈথুন বৈধ কি না?
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ-
"তোমরা যদি কোনো বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে বা মতানৈক্যে পৌঁছো, তাহলে তার সমাধানের জন্যে সেটি প্রেরণ কর আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছে" [ সূরা নিসাঃ ৫৯ ]
-
আল্লাহ ও রাসূল; অর্থাৎ, কোরআন ও হাদীস।
তাহলে আগে দেখতে হবে পবিত্র কোরআন ঠিক কী বলছে "হস্তমৈথুন" সম্পর্কে?
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'আল্লাহ্ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কী আল্লাহ্ সম্পর্কে এমন কিছু বলতেছ যা তোমরা জানো না?'' [ সূরা আরাফঃ ২৮ ]
-
এখানে একটি শব্দ এসেছে "ফাহিসাত" মানে, অশ্লীল, নোংরা, অবৈধ সেক্স, যৌন উত্তেজক পিকচার/ভিডিও/আলাপ, যৌন উস্কানী কাপড়, হস্তমৈথুন, উত্তেজনামূলক কাউকে স্পর্শ করা .......
মূলকথা, যে জিনিসগুলো অবৈধ সেক্সকে কামুদ্দীপনা যোগাবে সেটাই "ফাহিসাত"।
একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে আরও স্পষ্ট হবে; টাইগার/স্পিড/বেয়ার/হুয়িস্কী ইত্যাদী ড্রিকসগুলোর নাম কিন্তু কোরআনে পাবেন না; কিন্তু এ জাতীয় সব কোল্ডড্রীংসে কিন্তু কমবেশ এ্যালকোহল আছে।
আর পবিত্র কোরআনে সূরা মায়িদাঃ৯০ আয়াতে স্পষ্ট "মদ" বা এ্যালকোহল হারাম ঘোষণা করেছেন।
তাই পবিত্র কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে নাম ধরে হুইস্কি/বেয়ার/টাইগার হারাম করেননি; বরং তাদের মূল এ্যালকোহলকেই হারাম করেছেন। সেহেতু ঐগুলিও হারাম।
তদ্রুপ, কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে সেক্স/অবৈধ মেলামেশা /ধ্বর্ষণ/বেপর্দা/ হস্তমৈথুন/ সেক্সালাপ/সেক্স ভিডিও/পিকচার হারাম করেরনি; বরং তিনি এদের মূল একটি শব্দ "ফাহিসাত" দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
অতএব, উক্ত আয়াত থেকে প্রমাণ হয় "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা বা ফাহিসাত" [ সূরা আরাফঃ ৩৩ ]
-
একটু খেয়াল করেছেন, উক্ত আয়াতে "প্রকাশ্য + গোপন ফাহিসাত" বলা আছে।
এর মানে কী?
"গোপন ফাহিসাত" মানে, অন্যান্য সেক্সের ব্যাপার সময়ে প্রকাশ হলেও হস্তমৈথুন করার বিষয়টি আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। ঐ ব্যক্তি ও আল্লাহ সাক্ষী থাকে।
এটি এতটায় গোপন ফাহিসাত বা হস্তমৈথুন।
উক্ত আয়াত স্পষ্ট বলছে, "হস্তমৈথুন" করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"তোমরা কী ভেবে দেখেছো তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে? সেটি কী তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?" [ সূরা ওয়াকি'আঃ ৫৮-৫৯ ]
-
আল্লাহ পৃথিবীর সকল কোরআন পাঠকারীকে উক্ত প্রশ্ন করেছেন।
সত্যিই, এই বীর্য বা স্পার্মগুলো আল্লাহর রহমতে সৃষ্টি হয়।
যদি এভাবে আল্লাহর দেওয়া জিনিসকে অবৈধ পথে "হস্তমৈথুন" করে নিঃশেষ করে ফেলে; তাহলে একটি পুরুষের ভবিষ্যত প্রজন্ম কী হবে?
একটি পুরুষে ১০ বিলিয়ন যদি শুক্রাণু থাকে; আর ঐ পুরুষ যদি প্রতিদিন এভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তমৈথুন করে বীর্য শেষ করে ফেলে; তাহলে তো সে একদিন বাবা হবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে।
তাহলে স্পষ্ট তো বোঝা যাই, হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"দারিদ্রের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, আমিই তোমাদের ও তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক অশ্লীল বা ফাহিসাতের কাজের নিকটেও যাবে না" [ সূরা আনআমঃ ১৫১ ]
-
হস্তমৈথুন করার ফলে আসলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বা সন্তানদেরকেই হত্যা করা হচ্ছে।
অনেক পুরুষরা ভাবে, সন্তান হলে মুখ বাড়বে, গরীব হয়ে যাবে ; তাই অনেকে সেক্স করে হস্তমৈথুনভাবে।
এটারও ঘৃণা বলে উল্লেখ করেছে উক্ত আয়াত।
পরের অংশ বলছে, গোপনেও ফাহিসাতের নিকটে না যেতে"_____
মানে, এসব হস্তমৈথুন যিনা-ব্যাভিচারের সহায়ক।
আগের অংশেও বলেছি।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আর তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়ো না, ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩২ ]
-
উক্ত আয়াতে, "হস্তমৈথুন"কে যিনা বা ব্যবিচারের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
কারণ, আয়াতটি খেয়াল করুন....
"ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ"
তারমানে, যে জিনিস বা উপায় সমূহ অশ্লীল-নোংরা ও নিকৃষ্ট আচরণ সেটাই যিনা।
আর "হস্তমৈথুন" এটা যে একটা অশ্লীল ও নোংরা কাজ এটা যে কোনো সাধারণ পাবলিক বুঝে।
এটা নিকৃষ্ট একটা আচরণ। তাই "হস্তমৈথুন" যিনার একটি উপকরণ বটে।
তাই আয়াতানুযায়ী হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ।
-
হস্তমৈথুন এটা একটি মন্দ কাজঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"এই সমস্তের মধ্যে যেগুলি মন্দ সেইগুলি তোমার প্রতিপালকের নিকটও ঘৃণ্য" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩৮ ]
-
হস্তমৈথুন এটা যে নিকৃষ্ট কাজ সেটা জ্ঞানবান সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউ বলবে।
যদি হস্তমৈথুন খারাপ-ই না হত, তাহলে তো আর যুবক শ্রেণীরা বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার মত লুকিয়ে লুকিয়ে টয়লেট-বাথরুমে গিয়ে করত না।
তাই হস্তমৈথুন করা আল্লাহর কাছেও ঘৃণ্য।
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"(হে মুমিনগণ), তোমরা নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করিও না" [ সূরা বাকারাঃ ১৯৫ ]
-
হস্তমৈথুন এটা ব্যক্তি হাত দিয়ে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছে।
দেহ ও স্বাস্থের ক্ষতি করে ফেলছে; চোখের জ্যোতি, শুক্রানু শুকিয়ে যাওয়া, রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অবসাদ ও বিষন্ন লাগা....
এসব গুলো হস্তমৈথুন এর জন্য হয়ে থাকে। এই হস্তমৈথুন তরুণ-যুবক-যুবতীকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই উক্ত আয়াতানুযায়ীও হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
কিয়ামতের দিন ব্যক্তি হাত সাক্ষ্য দিবে সে হস্তমৈথুন করেছিলঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আমি আজ [ কিয়ামতের দিন ] মানুষদের মুখ মোহর করিয়া দিব, ইহাদের হস্ত কথা বলিবে আমার সহিত এবং ইহাদের চরণ সাক্ষ্য দিবে ইহাদের কৃতকর্মের" [ সূরা ইয়াসিনঃ ৬৫ ]
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"পরিশেষে যখন উহারা জাহান্নামের সন্নিকটে পৌঁছিবে তখন উহাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক উহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিবে, উহাদের বিরুদ্ধে।
জাহান্নামীরা উহাদের ত্বককে জিজ্ঞাসা করিবে, 'তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতেছ কেন?' উত্তরে উহারা বলিবে, 'আল্লাহ্, যিনি আমাদিগকে বাকশক্তি দিয়াছেন তিনি সমস্ত কিছুকে বাকশক্তি দিয়াছেন। তিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন প্রথমবার এবং তাঁহারই নিকটে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।'
'তোমরা কিছু গোপন করিতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না; উপরন্তু তোমরা মনে করিতে যে, তোমরা যাহা করিতে তাহার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না" [ সূরা হা-মীম-সেজদাঃ ২০-২২ ]
-
উক্ত আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যারা হস্তমৈথুনকারী তারা সেদিন কত লাঞ্চিত হবে; তাদের নিজের হাত সেদিন এসব হস্তমৈথুন করার কথা প্রকাশ্যে বলবে।
ফেবুতে লেংটা মেয়ের পিক দেখে দেখে হস্তমৈথুন করছে যে তা সব গুটি গুটি করে ঐ হাত বলবে; দেহের প্রতিটি অংশ এসব হস্তমৈথুনকারীর কথা ফাঁস করে দিবে।
-
-
:
আশা করি, লেখাটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
এ কদিন কোরআন খুঁজে ফিরে আয়াত গুলো কালেক্ট করেছি।
কারণ, একজন ভাই দ্বীনের সঠিক বিষয়ে সঠিক ধারণা পাবে; ভুল করলে সংশোধন হতে পারবে। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমার এত প্রচেষ্টা।
আশা করি, আপনি আপনার নিকটস্থ ভাই-বন্ধুদেরকেও এ হস্তমৈথুন সম্পর্কে উক্ত লেখাটি পৌঁছিয়ে দিবেন।
এতে প্রচার করার জন্য আপনিও সওয়াব পাবেন।
-
সহীহ্ বোখারী'তে আছেঃ
নবী(সাঃ) বলেছেনঃ যদি আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াতও জানো; তাহলে তা প্রচার করে দাও"


#অচিনপুরের_আইয়ুব

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

Google সার্চে যেভাবে আপনার সাইট ১ম পেজে রাখবেন- একদম সহজ নিয়মে। যা এর পূর্বে আপনি জানতেন না।



Google সার্চে ১ম পেজে থাকা মানে বেশি ভিজিটর পাওয়ার। 
কিন্তু ভুল বাছাইয়ের কারনে আমরা সার্চে ১ম পেজে থাকতে পারিনা।
একটু বুদ্ধি খাটিয়েই আপনি ও Google সার্চে ১ম পেজে থাকাতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে যেতে হবে
এই লিংকে।
Google AdWords Keyword Tool নামের এই Keyword Tool সকল SEO Optimizer দের কাছর খুবই জনপ্রিয়।
এখানে গিয়ে আপনি যে ধরনের Keyword দিয়ে সাইট বানাতে চান সেই Keyword টি Enter one keyword or phrase per line তে গিয়ে টাইপ করুন।এরপর Get keyword Ideas এ Click করলে পাবেন আপনার keyword এর সকল তথ্য।যেমন keyword টিতে Advertiser Competition কেমন,গত মাসের কতবার সারচ করা হয়েছে,Global Monthly Search Volume কত এসব।আপনি এখান থেকে যে সকল keyword এ কম Advertiser Competition আছে কিন্তু Local Search Volume বেশি সে সকল keyword গুলো আপনি বেছে নিন। 
যেমন মনে করুন আপনি গান ডাউনলোড (song Download) নিয়ে একটি সাইট বানাবেন।কিন্তু song Download keyword টিতে খুব বেশি Advertiser Competition রয়েছে। তাই এই keyword টি দিয়ে আপনি search এ প্রথমে থাকা খুব কঠিন।

কিন্তু আপনি যদি (song marathi,dhoom download,) keyword টি নিয়ে সাইট বানান কারন এ সকল keyword গুলোর Advertiser Competition কম কিন্তু এতে Local Search Volume বেশি। 
তাই যদি আপনার keyword টির বিপরীতে সাইটের content যদি ভালো হয় তবে আশা করা যায় আপনি ঐ keyword এর বিপরীতে Google সার্চে ১ম পেজে থাকবেন। 
কারন আমরা জানি আপার কেস থেকে লোয়ার কেসে অনেক বেশি হিট পাওয়া যায়। 
তো চেস্টা করেই দেখুন।

আপনিও হোন একজন সফল ব্লগার, পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল।

 ব্লগিং করে যেভাবে সফল হতে পারবেন ঃ-


ব্লগ শব্দটি weblog থেকে এসেছে।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয়। 
জন বার্জান সর্বপ্রথম এটি ব্যবহার করেন। 
তিনি মার্কিন নাগরিক ছিলেন।
পরবর্তীতে শব্দটিকে দুইভাগে ভাগ করা হয় we blog এবং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পায়।
যদিও কিছু দিন আগেও অনেকে ভাবতেন ব্লগিং মানে নাস্তিকতা।
এখন সে অপবাদ কিছুটা হলেও কমেছে। 
তবে এখনো কিছু সাধারণ পাবলিক আছে যারা ব্লগিং করা নাজায়েজ বলে থাকে। 
তাদের সাথে আমার কোন তর্ক নাই। তাদের বুঝানোর ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেন নাই।

যারা ব্লগিং করেন কোন একটি উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের জন্য আমার কিছু ট্রিপসঃ-
প্রথমত, দেখা উচিত ব্লগিং করার উদ্দেশ্য কি কি হতে পারে।
যদিও আমরা সব উদ্দেশ্য নোট করতে পারব না তবুও কমন কিছু উদ্দেশ্য নোট করতে পারি। 
যেমনঃ- টাকা ইনকাম, খ্যাতি অর্জন, কোন অবস্থার পরিবর্তনে প্রতিবাদ স্বরুপ।
আজকাল এই তিনটি প্রধান কারণ লক্ষ্য করা যায়। এসবের বাইরেও আরো অনেক কারণ আছে। কেউ কেউ তো নিজেই জানে না কেন ব্লগিং করছে!!! তাই তারা অন্যের লেখা কপি করে (চুরি করে) নিজের নামে চালিয়ে দেয়।
১. প্রথমে একটি টার্গেট ঠিক করুন আপনি কি বিষয়ে ব্লগিং করবেন। তা না হলে আপনি ব্লগিং করেই যাবেন অথচ কেউ উপকৃত হবে না। যখন আপনার লক্ষ্য ঠিক হয়ে যাবে তখন আপনি সে বিষয়ে সর্বোচ্ছ আপনার পাঠককে দিতে পারবেন।
২. কখনো অন্যের লেখা কপি করবেন না। এটা মারাত্নক খারাপ কাজ। এই কাজ করে আপনি কোনভাবেই লাভোবান হতে পারবেন না। আর যদি হয়ে থাকেন তবে সেটা অস্থায়ী।
৩. কখনো বিতর্কিত কিছু লিখবেন না। আর যদি লিখে থাকেন তবে সেখানে অন্য কারো বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত করবেন না।
৪. কিছু লেখার আগে প্রচুর স্টাডি করুন। তাহলে পাঠক আপনার লেখা খুজে বের করে পড়বে। আপনি যেখানেই ব্লগিং করুন না কেন আপনার লেখা পড়লেই আপনাকে চিনতে পারবে। সব সময় নিজের স্বকীয়তা ধরে রাখুন।
৫. ব্লগিং করে টাকা ইনকাম যদি উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তবে এমন কিছু নিয়ে লিখুন যা পড়ে পাঠক লাভোবান হয় এবং আগ্রহ বাড়ে। পাঠক ধরে রাখতে না পারলে ব্লগিং করে আনন্দ কোথায়? তাছাড়া যখন আপনার জন্য ভিজিটর মানেই টাকা তখন তো সাবধানী হয়ে ব্লগিং করা উচিত।
৬. লেগে থাকার মানষিকতা থাকতে হবে। ব্লগিং করে কেউই রাতারাতি সফল হয় নি। লেগে থাকলে যেকোন ক্ষেত্রেই সফল হওয়া যায় এই বিশ্বাস নিয়েই কাজ করতে হবে।
৭. ভিজিটর এট্রাক্ট করতে কখনোই এমন কোন টাইটেল দিবেন না যা আপনার ব্লগের সাথে সামঞ্জস্য নয়। ভিজিটর বাড়াতে সব সময় লেখার মানের দিকে গুরুত্ত্ব দিন।
৮. সব সময় রেফারেন্স ব্যবহার করুন। অন্যের কোন উক্তি বা ছবি ব্যবহার করার আগে জেনে নিন তা ব্যবহারে বাধ্যবাদকতা আছে কি না।
৯. উৎসাহ দিতে ভুলবেন না। আপনার পাঠককে সব সময় উৎসাহ দিন যেনো আনন্দের সহিত আপনার ব্লগ পড়তে পারে। শুধুমাত্র দ্বিধাহীন বক্তব্য দিয়ে গেলে পাঠক আপনার ব্লগের স্বাদ খুজে পাবে না।
১০. পরিপাটি ব্লগ সাজান। সৌন্দর্য সবাই বুঝে ও প্রছন্দ করে। তাই ব্লগকে পরিপাটি করে সাজান।
গুছানো যেকোন কিছু দেখতেও ভালো লাগে। কথায় আছে, প্রথমে দর্শন দারী পরে গুন বিচারী।
এগুলো দেখে চললে আপনি সফল ব্লগার হতে পারবেন 

চাঁদনী রাতের প্রেমময় গল্প- আপনি একবার হলেও পড়ুন।



মনে আছে তোমার? সে'দিন রাতে- চাঁদ দেখার নেশায়,তুমি-আমি পদ্মার পাড়ে! রাত তখন ১১:২০ মিনিট। তখনো চাঁদ উঠেনি। সারে বারো'টার পরে চাঁদ উঠবে। ঘুটঘুটে অন্ধকার! দু'জনের হাতেই,এন্ড্রোয়েড 'হাই পাওয়ার' এর দুটো টর্চ লাইট সংযুক্ত স্মার্ট ফোন। গ্যাস লাইট এমনকি ম্যাচও সাথে ছিলো না। (যতক্ষন ওর সাথে থাকি,ম্যাচ/গ্যাস এমনকি ব্রি/সিগারেট কিচ্ছু রাখিনা। কোনো ক্রমে দেইখা ফালাইলে,অস্থির বানায়া ছাইড়া দিবো) রাতের বেলায়,এই জায়গা'টা নাকি খুব ভয়ংকর! কোনো না কোনো সময়,এইখানে একটা কিছু ঘটবেই। সবচে' বড় কথা,ছিনতাই কারি'রা প্রতি রাইতে এইখানে আড্ডা দেয়। দিনের বেলায়,এখানে হাজারো মানুষের ঢল থাকে। -লাবু,চলো তো যাইগে? চাঁদ হ্লার'পু,আইজকা উঠবো না। _কাল্কে রাত্রে,বারোটা ষোঁল মিনিটে চাঁদ উঠছিলো। আমি টাইম দেখছিলাম। আজ একটু পর উঠবো... তারমানে,আইজকা নিশ্চিৎ কট খাইছি! হয় ভূতের কাছে,নাহয় ছিন্তাইকারী খানকির পুলা'গো হাতে। মাঝ রাতে- নদীর পাড়ে বসে,চাঁদ দেখার 'সখ' বহু দিনের। দু'জন একসাথে,চাঁদের রুপে গা ভিঁজাবো! শর্ত ছিলো- একজন-আরেক জনের দিকে তাকাতে পারবো বাট কারো প্রসংশা কুড়াবো না। বাসায় কেউ নেই- 'ওর' আজ বাসায় যাওয়ার তাড়া নেই। একটু পাগ্লামি হলে,ক্ষতি কি? এই'টুকু পাগ্লামি না হলে ভালবাসা'টা যেনো পূর্ণতাই পাবেনা। চাঁদ উঠেছিলো... রাত তখন ১২:৩৬ মিনিট! ঘুটঘুটে অন্ধকার! বালু উড়ছে,হঠাৎ ই বাতাস শুরু হয়ে গেলো। আকাশে এতটুকুও মেঘ নেই। তার মানে,বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। বালু উড়ে এসে,চুল সহ শরির ভিঁজিয়ে দিচ্ছে। বালু'র বৃষ্টি'তে ভিঁজতেছি দু'জন... তোমার বাম হাত- দু'রানের চিপায় নিয়া,কেঁচকি মাইরা বসে আছি। ডান হাত দুটো একে অপরের মুষ্টিতে,মিলনে কাতর! তুমি-আমি,চাঁদ দেখতেছি..... ঘুটঘুটে অন্ধকার! -'তুমি,চাদের চেয়েও সুন্দর! দু'টু চাদ,আজ একসাথে পেয়েছি...' এক ঝটকায়,বাম হাত খুলে নিলে। হাতের মুট ছেড়ে দিয়ে__ (শর্ত মানতে পারিনি,হুট করেই প্রসংশা করে ফেললাম। এতটুকু ধৈর্য্য,আমার ছিলো না। ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ কি..? সেটা,জানা ছিলো না।) এক ফাঁলি মেঘ এসে,চাঁদের মুখে জড়ো হলো... অন্ধকার! ঠোটের কোণে,হাসি টুকুও মিলিয়ে গেছে.... -'চলো... _আরেকটু বসি -কয়টা বাজে দেখছো..? _মারছেরে.... দেড়'টা বাইজা গেছে। কোমড়ে-জামায় গুঁজে রাখা চাবি টা নিয়ে,দরজা খুলে সুইচ দিলাম। লাইট জ্বলে উঠেই,আবার নিভে গেলো। কারেন্ট গেছে___ বাকি রাত টুকুও,চাঁদ দেখেই কেটেছে... জানালা খোলা। তোমার সমস্থ শরীর,ছড়িয়ে রাখা আমার ওপর। গতরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি... কিছু সময় পর পর,বার বার চুমো খাচ্ছি.... তোমার সমস্থ নিঃশ্বাস,নেশা হয়ে আমার ভিতরে ঢুকছে......

ইরাবতীর সুখের সংসার- না পড়লে চরম মিস।



- আসসালামু আলাইকুম, গুড মর্নিং সুইটহার্ট। - ওয়ালাইকুমুস সালাম, আরেকটু ঘুমাতে দাও প্লিজ। - না, আর ঘুমাতে হবে না। ৭.০০ টা বেজে গেছে। অফিস যাবে তাড়াতাড়ি ওঠো! - ধুর! বাদ দাও অফিসের চিন্তা। আজ একটু ঘুমিয়ে নেই। কাল থেকে সকাল সকাল উঠে যাবো - কাল বলতে কোন দিন নাই। যা করার আজ থেকে করতে হবে! তাড়াতাড়ি ওঠো! নয়তো আমি পানি ঢেলে দিচ্ছি। ইরার চেঁচামেচিতে আর শুয়ে থাকতে পারি না। চোখ কচলাতে কচলাতে তাকাই। দুচোখে এখনো দুনিয়ার ঘুম। চোখ কচলানোর মধ্যেই টের পাই কপালের মধ্যে তার ঠোটের আলতো এক ছোয়া। আর দুই কাধে মাখনের মতো নরম দুটো হাতের স্পর্শ। পরক্ষনেই ধাক্কা দিয়ে সোজা করে বসিয়ে দেয় । আমি একটু চোখ খুলে থাকাই। আলসেমি জড়ানোই থাকে। ইরা চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার এসে বলে- - এখনো ঘুম পাচ্ছে? - হুম। - বুঝেছি, পানি লাগবে! - না। ইরা কপট রাগ দেখিয়ে আমাকে বিছানা থেকে টান দিয়ে নামিয়ে দেয়। রক্তচক্ষু করে ঝাড়ি দিয়ে বলে, বাথরুমে ঢুকো। আমি সুবোধ বালকের মত বাথরুমে ঢুকে যাই। ফ্রেশ হয়ে আসি। চা খাই। হঠাৎ ঘড়ির তাকিয়ে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। তাড়াহুড়ো করে বের হই। পেছন থেকে ইরা ডাক দেয়- - এই যে শুনো। - তাড়াতাড়ি বল। - উফ! ভূলোবাবু! ভুলে যাও কেন?, বুঝি না। আমার সারাদিনের এনার্জি দিয়ে যাও। ইরা গজরাতে গজরাতে আমার পাশে আসে। আমার সোজাসুজি সামনে দাড়িয়ে দুই হাত আমার দুই কাধে রাখে। চোখবুঝে দাড়িয়ে থাকে। আমি তার কপালে আদর দিয়ে একটা চুম্বন একে দেই। তারপর অফিসের উদ্দেশ্যে চলি। ***** ইরিনা জামান ইরা, আমার স্ত্রী। শুধু স্ত্রী না, আমার সব। ইরা ফর্সা রঙের অধিকারী না । তবুও আমার কাছে সে সুন্দরী । তার ডাগর ডাগর দুই নয়নের দিকে তাকিয়ে আমি পাড়ি দিতে পারি এ মহাবিশ্ব। আমি আমার ইরাকে ভালোবাসি। ইরাকে আমি হারাতে চাইনা । ইরার সাথে আমার প্রথম দেখা তার বাসায়। অনেকটা সিনেমার কাহিনী! ঘটনাটা খুলে বলি। তখন থাকতাম বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ । একটা মেসে আমি আর আমার এক বন্ধু সহ আরো কয়েকজন। বেশ কয়েকদিন ছিলাম ঐ এলাকায়। আমরা যে গলিটাতে থাকতাম তার শেষ মাথায় ইরাদের বাসা। ইরা প্রতিদিন সকালে কলেজে যেত,দুপুরে আসত। আবার বিকালে কোচিংয়ে যেত সন্ধ্যায় আসত। একদিন ইরা সন্ধ্যার দিকে কোচিং থেকে আসছিল। আমার রুমমেটরা গলিতে অড্ডা দিচ্ছিল। সাথে আমার ঐ বন্ধুটিও ছিল। ইরাকে ওরা রাস্তায় দাড় করালো। যে যা পারছে মন্তব্য ছুড়ছে । আমি একটু দূরে দোকানে বসেছিলাম। মাঝে মধ্যে তাকাচ্ছিলাম । দৃষ্টি টা ওখানেই আটকে গেল । ইরার কোন ভাবান্তর নেই । সবাই মিলে তাকে হেনস্থা করছে। আমি দেখলাম সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে । গাল বেয়ে পানি পড়ছে । আমি বসা থেকে উঠলাম। হঠাৎ কেউ একজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ওয়া সরে গেলো। ইরা তার বাসায় চলে গেলো। আমিও আমার যায়গায় বসে পড়লাম। মাগরিবের নামাজ পড়ে বাসায় গিয়ে বন্ধুকে বললাম চল ঘুরে আসি। বাইকে করে সোঝা ইরাদের বাসায় চলে গেলাম। ইরার আম্মু গেট খুলে দিলেন। আমি বললাম আন্টি ইরাকে ডাকেন। আন্টি অনেকটা চমকে গেলেন। আমিও মোটামুটিভাবে আরেকটু জোর দিয়ে বললাম ইরাকে ডাকেন। ডাকা লাগলো না। চেচামেচিতে ইরা নিজেই বেরিয়ে আসল। আমি আমার বন্ধুকে ধাক্কা দিয়ে ইরার সামনে দিয়ে বললাম সরি বল। ইতস্থ করছে দেখে জোরে ধমক দিলাম। তারপর তাকে হালকা একটু নসিহত করলাম । রাগে গজগজ করতে বেরিয়ে গেলো। আমি বন্ধুর পক্ষ থেকে আবার ইরার কাছে ক্ষমা চাইলাম। সেদিন প্রচন্ড রেগে ছিলাম। আমি আমার রুমমেটদের সাথে মারামারি করেছিলাম । সেদিনের পর থেকে ইরাদের পরিবারের সাথে আমার সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। মাঝে মাঝে ইরা আমার কাছে আসত। আন্টি এটা সেটা বানিয়ে পাঠাতেন। ঘটনার মাসখানেক পর ইরা কোচিং ছেড়ে দিলো। টাকার অভাবে। তাই আমি মাঝে মাঝে ইরাকে তার বাসায় গিয়ে পড়াতাম। আমি জেনেছিলাম ইরা আর তার মা একা থাকেন বাসায়। ইরার বাবা নেই। মা বাসায় সেলাই কাজ করেন। ইরাও মায়ের সাথে কাজ করে পড়ালেখার ফাঁকে। শুধু যে পড়ানো তা না। আমি এক আকর্ষণে তার কাছে ছুটে যেতাম । ইরার কোন বন্ধু বান্ধবী ছিল না । আমি যে আস্তে আস্তে খুব গভীর ভাবে ইরার প্রেমে পড়ে গিয়েছি, সে কথা নিজে বুঝলেও তাকে বুঝাতে আমার ভয় লাগতো । যদি মনে করে সে গরীব বলে আমি দয়া করছি । আমার কাছ থেকে চলে যায়, আমি তখন কি করব ? সেদিন পড়ানো শেষ করে খুব সাহস করে ইরার হাতে দুই লাইনের একটা চিঠি দিয়ে আসলাম। বললাম উত্তর আমাকে মোবাইলে জানাবে। একদিন দিন পার হয়ে গেল কোন উত্তর নাই। দ্বিতীয় দিন আমার সেই রুমমেট প্লাস বন্ধু যাকে ইরার কাছে সরি বলতে বলেছিলাম সে আমাকে বলল ইরা নাকি তাকে দিয়ে খবর পাঠিয়েছে যাওয়ার জন্য। তাকে জড়িয়ে ধরলাম । সে শুধু বলেছিল – আমার উপর আর রাগ করিস না আর। আমি ভাল হয়ে গেছি। ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে শুধু জিজ্ঞেস করলাম , কবে যেতে বলেছে ? ইরা আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। আমি যাওয়ার পর ইরা প্রথম যে কথা বলল। তা হলো- আমার সারা জীবনের সঙ্গী হতে পারবে? কানে কানে বললাম – তোমার সঙ্গী হলে আমার রাণী হয়ে থাকবে তো ? ইরা হাসলো । আস্তে আস্তে দিন যায় । রাত পোহায় । আমার পড়াশুনা শেষে একটা চাকরিও জুটে যায় । আম্মাকে ইরার ছবি দেখালাম। আমার কোন পছন্দ আমার আব্বা আম্মা ফেলে দেন নি কোনদিন। এবারও ব্যতিক্রম হলো না। শুধু জিজ্ঞেস করলেন এই মেয়েটাকে বিয়ে করলে আমি খুশি হবো কি না? আমার খুশিতেই আমার আব্বা আম্মা খুশি। আমিও ইরার মত বউ পেয়ে খুশি। ******** অফিস থেকে ফিরতে বিকাল হয়ে যায়। অসরের নামাজ শেষ হয় হয় প্রায়। বাসায় এসে কলিং টিপ দেই। ইরা দরজা পুরো না খুলে একটু ফাক করে জিজ্ঞেস করে- -নামাজ পড়ে এসেছো? -না! এইতো পড়বো। -ইরা রাগ হয়ে যায়! জগতের আশ্চর্য কয়েকটি সৌন্দর্যের একটি হল ডাগর ডাগর নয়নের মেয়েদের নাকের পটকরা ফুলিয়ে রাগ করতে দেখা। সেই সৌন্দর্যটা ইরার আছে। আমি দেখি। মন ভরে দেখি। কিন্তু বেশিক্ষণ দেখা যায় না। তার আগেই দড়াম করে দরজা বন্ধ হয়ে যায় এবং ওপাশ থেকে মায়াবিনীর চেঁচামেচি শোনা যায়, "নো নামাজ নো এন্ট্রি, নামাজ না পড়লে এই বাসার দরজা চিরতরে বন্ধ। দেখি নামাজ না পড়ে কে এই বাসায় ঢুকে। ভুলোবাবু, আলসেবাবু, ঘুমবাবু কোন বাবুকেই আমি চিনি না।" আমি হাসি। গর্বের হাসি। তৃপ্তির হাসি। হাসতে হাসতে চলে যাই মা’বূদের কাছে। শুকরিয়া জানাই এমন একজন মানুষ আমার তাকদীরে লিখে দেওয়ার জন্য।

আহলে হাদীস যুবসংঘ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। যা আপনার জানা প্রয়োজন।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
"কুল হা-যিহী সাবীলী আদ'ঊ ইলাল্লা-হি 'আলা বাছীরাতিন আনা ওয়া মানিত্তাবা'আনী; ওয়া সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন"।
অর্থঃ বলুন ইহাই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীগণ ডাকি আল্লাহর দিকে জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আল্লাহ পবিত্র এবং আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত নই। (সুরা ইউসুফ-১০৮)


'আহলেহাদীছ' অর্থ কুরআন ও হাদীছের অনুসারী। দুনিয়ার মানুষকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মর্মমূলে জমায়েত করার জন্য ছাহাবায়ে কেরামের যুগ হতে চলে আসা নির্ভেজাল ইসলামী আন্দোলনই 'আহলেহাদীছ আন্দোলন'। 'আহলেহাদীছ' কোনো মাযহাব বা মতবাদের নাম নয়; এটি একটি পথের নাম। সে পথ আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র পথ; পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথ। ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে ইযাম ও সালফে ছালেহীন সর্বদা এ পথেই দাওয়াত দিয়ে গেছেন। মানুষের ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের যাবতীয় হেদায়েত এ পথেই মওজুদ রয়েছে। 'আহলেহাদীছ আন্দোলন সেই পথেই ডাকে। এই আন্দোলন মুমিনের ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তির আন্দোলন।
সংগঠনের নামঃ
বাংলাতে- বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ
আরবীতে- জমঈয়তে শুব্বানে আহলিল হাদীছ বাংলাদেশ
ইংলিশ- Bangladesh Ahlehadeeth Youth Association
প্রতিষ্ঠাকালঃ ৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭৮ খৃঃ, রবিবার
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
নির্ভেজাল তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে কিতাব ও সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করা। আক্বীদা ও আমলের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধন আহলেহাদীছ আন্দোলনের সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য।
মূলনীতিঃ বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘের প্রধান মূলনীতি ৫টি।
১. কিতাব ও সুন্নাতের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা
( এর অর্থ- পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আদেশ-নিষেধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং তাকে নিঃশর্তভাবে ও বিনা দ্বিধায় কবুল করে নেওয়া ও সে অনুযায়ী আমল করা)
২. তাক্বলীদে শাখছী বা অন্ধ ব্যক্তিপূজার অপনোদন
( তাক্বলীদ অর্থ- শারঈ বিষয়ে বিনা দলীলে কারো কোনো কথাকে চোখ বুঁজে মেনে নেওয়া। তাক্বলীদ দু'প্রকার- জাতীয় ও বিজাতীয়। জাতীয় তাক্বলীদ বলতে ধর্মের নামে মুসলিম সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন মাযহাব ও তরীকার অন্ধ অনুসরণ বুঝায়। বিজাতীয় তাক্বলীদ বলতে বৈষয়িক ব্যাপারের নামে সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রভৃতি বিজাতীয় মতবাদের অন্ধ অনুসরণ বুঝায়)
৩. ইজতেহাদ বা শরী'আত গবেষণার দুয়ার উন্মুক্তকরণ
( ইজতিহাদ অর্থ- যুগ-জিজ্ঞাসার জওয়াব পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ হতে বের করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। এই অধিকার ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল যুগের সকল যোগ্য আলেমের জন্য খোলা রাখা)
৪. সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে পরিগ্রহণ
( এর অর্থ- ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে গ্রহন করা)
৫.মুসলিম সংহতি দৃঢ়করণ
( এর অর্থ- পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আদেশ-নিষেধকে নিঃশর্তভাবে মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলা এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া )
উপরোক্ত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মূলনীতি সমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে 'বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ' চায় এমন একটি ইসলামী সমাজ, যেখানে থাকবেনা প্রগতির নামে কোনো বিজাতীয় মতবাদ; থাকবেনা ইসলামের নামে কোনোরুপ মাযহাবী সংকীর্ণতাবাদ।
কর্মসূচীঃ
বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ- এর কর্মসূচী ৪টি। যথা- ১. তাবলীগ, ২. তানযীম, ৩. তারবিয়াত ও ৪. তাজদীদে মিল্লাত।
১. তাবলীগ বা প্রচারঃ
এ দফার করণীয় হলো, তরুণ ছাত্র ও যুবসমাজের নিকট নির্ভেজাল তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। তাদেরকে যাবতীয় রকমের শিরক, বিদ'আত ও তাক্বলীদী ফির্কাবন্দীর বেড়াজাল হতে মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও খোলা মনে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী নিজের জীবন ও পরিবার গঠনে উদ্বুদ্ধ করা। তাদের মধ্যে ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান অর্জন এবং জীবনের সকল দিক ও বিভাগে উহার পূর্ণাঙ্গ অনুশীলনের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করা।
২. তানযীম বা সংগঠনঃ
এ দফার করণীয় হলো, যেসকল যুবক নিজেদেরকে খাঁটি ইসলামী চরিত্রে গড়ে তুলতে এবং সমাজের বুকে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী জীবনবিধান কায়েমের আন্দোলনে অংশ নিতে প্রস্তুত, তাদেরকে এই সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করা।
জনশক্তি স্তরঃ এ সংগঠনের জনশক্তি স্তর ৩টি। যথা- প্রাথমিক সদস্য, কর্মী ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য। অনধিক ৩২ বছরের যে সকল তরুণ ছাত্র ও যুবক ক) নিয়মিত ছালাত আদায় করেন খ) কুরআন ও সুন্নাহর সিদ্ধান্তকে বিনা শর্তে মেনে নেওয়ার স্বীকৃতি দেন গ) নির্ধারিত সিলেবাস অধ্যয়নপূর্বক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ঘ) সংগঠনের নির্দেশ পালনে প্রস্তুত থাকেন এবং ঙ) ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষনে রাযী থাকেন। তিনি নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে এই সংগঠনের 'প্রাথমিক সদস্য' হিসেবে গণ্য হবেন। এভাবে ধাপে ধাপে পরবর্তী স্তরে উত্তীর্ণ হবেন। এছাড়া শাখা, এলাকা, উপযেলা, যেলা ও কেন্দ্র এই পাঁচটি সাংগঠনিক স্তর রয়েছে।
৩. তারবিয়াত বা প্রশিক্ষনঃ
এ দফার উদ্দেশ্য, সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ যুবকদের নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যিন্দাদিল মর্দে মুজাহিদ রুপে গড়ে তোলা এবং ধর্মের নামে প্রচলিত যাবতীয় কুসংস্কার ও জাহেলিয়াতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুকাবিলায় ইসলামকে বিজয়ী করার মত যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী তৈরি করার ব্যবস্থা গ্রহন করা।
৪. তাজদীদে মিল্লাত বা সমাজ সংস্কারঃ
এ দফার করণীয়, আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র বিধান অনুযায়ী সমাজের বুকে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো এবং এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সংশোধনের ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে চাই--
(১) শিক্ষা সংস্কারঃ
(ক) দেশে প্রচলিত ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার দ্বি-মুখী ধারাকে সমন্বিত করে আমরা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক একক ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চাই। যেখানে দেশের প্রচলিত বিভিন্ন ধর্ম ও ইসলামী মাযহাবী পাঠ্য বইসমূহ ঐচ্ছিক হিসেবে সিলেবাসভুক্ত হবে।
(খ) ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শিক্ষার পরিবেশ অথবা একই প্রতিষ্ঠানে পৃথক শিফটিং পদ্ধতি চালু করে উভয়ের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও পৃথক কর্মক্ষেত্র ও কর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা যরুরী এবং
(গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে যাবতীয় দলাদলি ও রাজনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ নিষিদ্ধ করা উচিত এবং প্রয়োজনবোধে সেখানে বয়স, যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করা আশু যরুরী।
(২) অর্থনৈতিক সংস্কারঃ
হালাল রুযী ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। অথচ সূদ-ঘুষ, জুয়া-লটারী যা ইসলামে হারাম ঘোষিত হয়েছে এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির নোংরা হাতিয়ার হিসেবে যা সর্বযুগে সকল জ্ঞানী মহল কর্তৃক নিন্দিত হয়েছে, সেই প্রকাশ্য হারামী অর্থ ব্যবস্থাকে বাংলাদেশের মুসলিম সরকারগুলো সর্বদা চালু রেখেছে। এতে ধনীদের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে ও গরীবেরা আরও নিঃস্ব হচ্ছে। যার পরিণতি স্বরুপ সামাজিক অশান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে দেশী ও বিদেশী পুঁজিবাদী সূদখোর এনজিও সমূহের অপতৎপরতা। যারা হিংস্র অক্টোপাসের মত সমাজদেহকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে সাধারণ জনগণের ঈমান ও নৈতিকতা হরণ করছে এবং সাথে সাথে এই দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু ও পরমুখাপেক্ষী করে রেখেছে, যা সম্রাজ্যবাদীদের সুদূর প্রসারী রাজনৈতিক নীল-নকশারই অংশ বলে অনেকে মনে করেন। উপরোক্ত দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা হতে সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা নিম্নোক্ত কর্মসূচীসমূহ গ্রহন করতে চাই-
(ক) শহর ও গ্রামে বায়তুল মালের সুষ্ঠু সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। (খ) সমাজকল্যাণমূলক ইসলামী প্রকল্পসমূহ গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা। (গ) অনৈসলামী অর্থব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠন করা ও সরকারের নিকটে ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালুর জন্য জোর দাবী পেশ করা। (ঘ) ব্যক্তি জীবনে যাবতীয় বিলাসিতা পরিহার করে 'অল্পে তুষ্ট থাকা'র ইসলামী নীতির বাস্তব অনুশীলন ও সকলের মধ্যে পরকালীন জওয়াবদিহির দায়িত্বানুভূতি তীব্র করা।
(৩) নেতৃত্বের সংস্কারঃ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসৎ নেতৃত্ব আজ সমাজ জীবনকে বিষময় করে তুলেছে। শান্তিপ্রিয় সৎ নেতৃত্ব সর্বত্র মুখ লুকিয়েছে। এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য পূর্বে বর্ণিত শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক কারণ দুটি ছাড়াও নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে আমরা মৌলিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি:
(ক) দল ও প্রার্থীভিত্তিক বর্তমান নেতৃত্ব ব্যবস্থা।
(খ) সৎ ও অসৎ সকলের ভোটের মূল্য ও নির্বাচনের অধিকার সমান গণ্য করা।
(গ) দলীয় প্রশাসন, দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থা।
(ঘ) সরকার ও বিরোধী দলীও রাজনৈতিক পদ্ধতি এবং হরতাল, ধর্মঘট ও মিছিলের যথেচ্চ ব্যবহার।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সামনে রেখে নেতৃত্ব সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে নিম্নোক্ত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার জন্য জাতির নিকটে পেশ করতে চাই-
(ক) সর্বত্র দল ও প্রার্থীবিহীন নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা এবং নির্বাচক ও নির্বাচিতদের জন্য নির্দিষ্ট গুণাবলী নির্ধারণ করা।
(খ) প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু করা এবং স্বাধীন ও ইসলামী বিচার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
(গ) বিরোধী দলীয় দ্বি-মুখী রাজনৈতিক পদ্ধতি বাতিল করা এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল সদস্যকে একই পরিবারভুক্ত গণ্য করে ইসলামী শূরা পদ্ধতি অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা।
(ঘ) জনগণ ও সংসদ নয়, বরং আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হিসেবে ঘোষণা করা এবং তাঁর প্রেরিত সর্বশেষ 'অহি'-র বিধান পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে সকল ক্ষেত্রে চুড়ান্ত সমাধান হিসেবে গ্রহন করা। মোটকথা মানুষের উপরে মানুষের প্রভুত্ব নয়, সবাই আমরা এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে ভাই ভাই; এমন একটা সামাজিক মানসিকতা সৃষ্টি করতে এবং 'আমর বিল মা'রুফ ও নাহি আনিল মুনকার'(সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ) -এর মূলনীতি অনুযায়ী সমাজের বুকে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য সংগঠনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন একদল ঈমানদার ও যোগ্য কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে চাই।
আয়ের উৎসঃ
যাকাত, ফিতরা ও ওশর আদায়। প্রতি স্তরের সদস্যদের এবং শাখা সমূহের নিয়মিত এয়ানত যা কেন্দ্র কর্তৃক নির্ধারিত হয়। এছাড়া আছে উপদেষ্টা ও সুধীদের দান, যুবসংঘ প্রকাশনী এবং অন্যান্য বই, সাময়িকী, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি বিক্রয়লব্ধ আয়।
ব্যয়ের খাতঃ
সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়। এছাড়া পাঠাগারের বই ক্রয়, গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের সাহায্য, বন্যা ত্রাণসহ সমাজ সেবামূলক কাজে অংশগ্রহন ও আন্দোলনের সহায়ক বিভিন্ন বই, বুকলেট, বিজ্ঞাপন, সাময়িকী, প্রকাশনা ইত্যাদি।
আমাদের দাওয়াতঃ
'বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ' এদেশে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিজয় ও বাস্তবায়ন দেখতে চায়। এজন্য রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এর তরীকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ইমারতের অধীনে পূর্ণ ইখলাছের সাথে 'দাওয়াত ও জিহাদ'-এর কর্মসূচী নিয়ে জামা'আতবদ্ধভাবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। অতএব কিতাব ও সুন্নাতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে বিশ্বাসী মুমীন ভাইদেরকে এই জিহাদী কাফেলায় শামিল হয়ে জান ও মালের কুরবানী পেশ করার উদাত্ত আহ্বান জানাই
<আরো জানতে পড়ুন>
• গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি
• আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?
• ইক্বামতে দ্বীনঃ পথ ও পদ্ধতি
• ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন
• মাসিক আত-তাহরীক
• ত্রি-পাক্ষিক তাওহীদের ডাক
এছাড়াও যুবসংঘ প্রকাশনী, হাদীছ ফাউন্ডেশন ও আহলেহাদীছ আন্দোলনের অন্যান্য বই, বুকলেট, প্রচারপত্র এবং জুমুআর খুতবাসহ সংগঠনের বিভিন্ন প্রগ্রামের লেকচারসমূহ।
[কেন্দ্রীয় কার্যালয়ঃ
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী (২য় তলা) নওদাপাড়া, পোঃ সপুরা, রাজশাহী, বাংলাদেশ] .
ওয়েবসাইটঃ

আপনিও হোন ওয়েব ডিজাইনার



আমরা যারা ওয়েব্ ডিজাইন শিখতে চাই তাদের জন্য এক বিশাল শু-খবর। 
আমরা সবাই চেষ্টা করি কোন IT center এ গিয়ে ওয়েব ডিজাইন শিখতে। 
কিন্তু বর্তমানে IT center গুলো খুব প্রোফেসনাল হয়ে গেছে। 
তাই আপনি যদি নিজে নিজে ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান তাহলে আজ একটা ওয়েবসাইট এর ঠিকানা দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি নিজে নিজে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। 
আমার দেখা সবচেয়ে ভাল একটা ওয়েবসাইট। 
এখানে রয়েছে অনেক tutorial যা দেখে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারেন। 
এখানে সব tutorial বাংলা করা। তাই আপনি খুব সহজেই ওয়েব ডিজাইন এর অনেক কিছু শিখতে পারেন। 
এখানে রয়েছে CSS, HTML, PSD to HTML, WordPress, PHP সহ অনেক কিছুর বাংলায় tutorial। 
আমিও অনেক কিছু এখান থেকে শিখেছি এবং এখনো শিখছি।

ওয়েবসাইট rrfoundation.net