রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

করুণ প্রেম কাহিনী

ছেলেটার নাম অনিক।
নম্র, ভদ্র ছেলে হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত।
ছাত্র হিসেবে খুব একটা খারাপ না। ক্লাস রোল সবসময় ১০ এর মধ্যেই থাকে।
.
দেখতেও বেশ হ্যান্ডসাম।
অনিকের বয়স তখন ১৪ বছর। ক্লাস ৯ এ উঠেছে মাত্র।
অনিকের বাবা সেনা অফিসার।
কুমিল্লা ক্যান্টমেন্ট থেকে তার বাবা বগুড়া ক্যান্টমেন্ট এ ট্রান্সফার হয়েছে।
বাবার চাকুরির সুবাদে সে বগুড়াতে আসে।
সেখানে সে ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড হাই-স্কুল এ পড়াশোনা শুরু করে।
.
একই ক্লাসে পড়ে তানিয়া। পুলিশ সুপারের মেয়ে।
তখন এপ্রিল মাস। হটাত করেই তানিয়ার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ হয়।
একদিন ইকবাল স্যারের বাংলা প্রাইভেটে প্রথম অনিকের সাথে তানিয়ার দেখা হয়।
সে তার আচার আচরণ দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।
তাই সে তাইম পাস করবে বলে অনিক-কেই নির্বাচন করে।
তানিয়া অনিক কে খুব ভালবেসে ফেলার অভিনয় করে।
তার মতে অনিক ছেলেটা দেখতে ঠিক সাকিব আল-হাসান এর মত।
.
অনিক অবশ্য ক্রিকেট খুব ভালো খেলতে পারে।
কয়েক দিন যেতে না যেতেই অনিক কে তানিয়া তার মনের কথা জানায়।
সে সামনা-সামনিই বলে ফেলে তার ভাল লাগার কথা।
তানিয়া এই দিকে সিউর ছিল যে, তার মত সুন্দরি মেয়ের মেয়ের প্রস্তাব অনিক কখনও না করতে পারবে না।
অথচ তানিয়াকে তার সপ্নের রাজ্য থেকে বাস্তবতায় ফিরে আনে অনিকের এই কথাটি, “দেখ আমি এসব ফালতু জিনিস কে জাস্ট Hate করি। আমাকে আর এসব কথা আর কখনো ভুলেও বলবানা।”
.
ওইদিন তানিয়া খুব কস্ট পায়। এবার সে সত্যি সত্যিই অনিক-কে ভালবেসে ফেলে।
কেঁদে কেঁদে পার করে সারা রাত। সব সময় তার মাথায় একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। আর তা হল “আমার কিসে অভাব?”

.
অপরদিকে অনিক নিজে নিজে চিন্তা করে,” কি লাভ এই relation করে?” আমার বাবা সরকারের কাছে থেকে সামান্য বেতন পায়।
আর আমি তা দিয়ে অন্যের মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলব? পড়াশোনা বাদ দিয়ে এই মূল্যবান সময় অযথা নস্ট করব?
মানুষের মত মানুষ হতে পারলে এরকম কত্ত মেয়ে Life এ আসবে।”
কখনও কখনও ইচ্ছা থাকলেও করা যায় না। এখনই ভবিষ্যৎ গড়ার সময়।
আগে না হয় নিজে প্রতিষ্ঠিত হই। বাবা, মা-র স্বপ্ন পুরণ করি।
.
আধুনিকতার এই যুগে সবাই GF/BF নিয়ে ব্যাস্ত থাকলেও আমি না হয় আমি নামায, পড়াশোনা নিয়েই ব্যাস্ত থাকি।
এত আধুনিকতার ভিড়ে আমি না হয় সাধারন ভাবেই বেঁচে থাকি।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন