This is default featured slide 1 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com

This is default featured slide 2 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com

This is default featured slide 3 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com

This is default featured slide 4 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com

This is default featured slide 5 title

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam. blogger theme by www.tiutorialbd.blogspot.com.

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

"ইসলামের দৃস্টিতে হস্তমৈথুন"

বর্তমান যুবসমাজের মাঝে এটি ব্যাপক হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অনেকেই এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
আসুন আজ আমরা দেখি ধর্মীয়ভাবে হস্তমৈথুন বৈধ কি না?
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ-
"তোমরা যদি কোনো বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে বা মতানৈক্যে পৌঁছো, তাহলে তার সমাধানের জন্যে সেটি প্রেরণ কর আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছে" [ সূরা নিসাঃ ৫৯ ]
-
আল্লাহ ও রাসূল; অর্থাৎ, কোরআন ও হাদীস।
তাহলে আগে দেখতে হবে পবিত্র কোরআন ঠিক কী বলছে "হস্তমৈথুন" সম্পর্কে?
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'আল্লাহ্ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কী আল্লাহ্ সম্পর্কে এমন কিছু বলতেছ যা তোমরা জানো না?'' [ সূরা আরাফঃ ২৮ ]
-
এখানে একটি শব্দ এসেছে "ফাহিসাত" মানে, অশ্লীল, নোংরা, অবৈধ সেক্স, যৌন উত্তেজক পিকচার/ভিডিও/আলাপ, যৌন উস্কানী কাপড়, হস্তমৈথুন, উত্তেজনামূলক কাউকে স্পর্শ করা .......
মূলকথা, যে জিনিসগুলো অবৈধ সেক্সকে কামুদ্দীপনা যোগাবে সেটাই "ফাহিসাত"।
একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে আরও স্পষ্ট হবে; টাইগার/স্পিড/বেয়ার/হুয়িস্কী ইত্যাদী ড্রিকসগুলোর নাম কিন্তু কোরআনে পাবেন না; কিন্তু এ জাতীয় সব কোল্ডড্রীংসে কিন্তু কমবেশ এ্যালকোহল আছে।
আর পবিত্র কোরআনে সূরা মায়িদাঃ৯০ আয়াতে স্পষ্ট "মদ" বা এ্যালকোহল হারাম ঘোষণা করেছেন।
তাই পবিত্র কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে নাম ধরে হুইস্কি/বেয়ার/টাইগার হারাম করেননি; বরং তাদের মূল এ্যালকোহলকেই হারাম করেছেন। সেহেতু ঐগুলিও হারাম।
তদ্রুপ, কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে সেক্স/অবৈধ মেলামেশা /ধ্বর্ষণ/বেপর্দা/ হস্তমৈথুন/ সেক্সালাপ/সেক্স ভিডিও/পিকচার হারাম করেরনি; বরং তিনি এদের মূল একটি শব্দ "ফাহিসাত" দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
অতএব, উক্ত আয়াত থেকে প্রমাণ হয় "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা বা ফাহিসাত" [ সূরা আরাফঃ ৩৩ ]
-
একটু খেয়াল করেছেন, উক্ত আয়াতে "প্রকাশ্য + গোপন ফাহিসাত" বলা আছে।
এর মানে কী?
"গোপন ফাহিসাত" মানে, অন্যান্য সেক্সের ব্যাপার সময়ে প্রকাশ হলেও হস্তমৈথুন করার বিষয়টি আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। ঐ ব্যক্তি ও আল্লাহ সাক্ষী থাকে।
এটি এতটায় গোপন ফাহিসাত বা হস্তমৈথুন।
উক্ত আয়াত স্পষ্ট বলছে, "হস্তমৈথুন" করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"তোমরা কী ভেবে দেখেছো তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে? সেটি কী তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?" [ সূরা ওয়াকি'আঃ ৫৮-৫৯ ]
-
আল্লাহ পৃথিবীর সকল কোরআন পাঠকারীকে উক্ত প্রশ্ন করেছেন।
সত্যিই, এই বীর্য বা স্পার্মগুলো আল্লাহর রহমতে সৃষ্টি হয়।
যদি এভাবে আল্লাহর দেওয়া জিনিসকে অবৈধ পথে "হস্তমৈথুন" করে নিঃশেষ করে ফেলে; তাহলে একটি পুরুষের ভবিষ্যত প্রজন্ম কী হবে?
একটি পুরুষে ১০ বিলিয়ন যদি শুক্রাণু থাকে; আর ঐ পুরুষ যদি প্রতিদিন এভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তমৈথুন করে বীর্য শেষ করে ফেলে; তাহলে তো সে একদিন বাবা হবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে।
তাহলে স্পষ্ট তো বোঝা যাই, হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"দারিদ্রের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, আমিই তোমাদের ও তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক অশ্লীল বা ফাহিসাতের কাজের নিকটেও যাবে না" [ সূরা আনআমঃ ১৫১ ]
-
হস্তমৈথুন করার ফলে আসলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বা সন্তানদেরকেই হত্যা করা হচ্ছে।
অনেক পুরুষরা ভাবে, সন্তান হলে মুখ বাড়বে, গরীব হয়ে যাবে ; তাই অনেকে সেক্স করে হস্তমৈথুনভাবে।
এটারও ঘৃণা বলে উল্লেখ করেছে উক্ত আয়াত।
পরের অংশ বলছে, গোপনেও ফাহিসাতের নিকটে না যেতে"_____
মানে, এসব হস্তমৈথুন যিনা-ব্যাভিচারের সহায়ক।
আগের অংশেও বলেছি।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আর তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়ো না, ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩২ ]
-
উক্ত আয়াতে, "হস্তমৈথুন"কে যিনা বা ব্যবিচারের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
কারণ, আয়াতটি খেয়াল করুন....
"ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ"
তারমানে, যে জিনিস বা উপায় সমূহ অশ্লীল-নোংরা ও নিকৃষ্ট আচরণ সেটাই যিনা।
আর "হস্তমৈথুন" এটা যে একটা অশ্লীল ও নোংরা কাজ এটা যে কোনো সাধারণ পাবলিক বুঝে।
এটা নিকৃষ্ট একটা আচরণ। তাই "হস্তমৈথুন" যিনার একটি উপকরণ বটে।
তাই আয়াতানুযায়ী হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ।
-
হস্তমৈথুন এটা একটি মন্দ কাজঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"এই সমস্তের মধ্যে যেগুলি মন্দ সেইগুলি তোমার প্রতিপালকের নিকটও ঘৃণ্য" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩৮ ]
-
হস্তমৈথুন এটা যে নিকৃষ্ট কাজ সেটা জ্ঞানবান সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউ বলবে।
যদি হস্তমৈথুন খারাপ-ই না হত, তাহলে তো আর যুবক শ্রেণীরা বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার মত লুকিয়ে লুকিয়ে টয়লেট-বাথরুমে গিয়ে করত না।
তাই হস্তমৈথুন করা আল্লাহর কাছেও ঘৃণ্য।
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"(হে মুমিনগণ), তোমরা নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করিও না" [ সূরা বাকারাঃ ১৯৫ ]
-
হস্তমৈথুন এটা ব্যক্তি হাত দিয়ে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছে।
দেহ ও স্বাস্থের ক্ষতি করে ফেলছে; চোখের জ্যোতি, শুক্রানু শুকিয়ে যাওয়া, রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অবসাদ ও বিষন্ন লাগা....
এসব গুলো হস্তমৈথুন এর জন্য হয়ে থাকে। এই হস্তমৈথুন তরুণ-যুবক-যুবতীকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই উক্ত আয়াতানুযায়ীও হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
কিয়ামতের দিন ব্যক্তি হাত সাক্ষ্য দিবে সে হস্তমৈথুন করেছিলঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আমি আজ [ কিয়ামতের দিন ] মানুষদের মুখ মোহর করিয়া দিব, ইহাদের হস্ত কথা বলিবে আমার সহিত এবং ইহাদের চরণ সাক্ষ্য দিবে ইহাদের কৃতকর্মের" [ সূরা ইয়াসিনঃ ৬৫ ]
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"পরিশেষে যখন উহারা জাহান্নামের সন্নিকটে পৌঁছিবে তখন উহাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক উহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিবে, উহাদের বিরুদ্ধে।
জাহান্নামীরা উহাদের ত্বককে জিজ্ঞাসা করিবে, 'তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতেছ কেন?' উত্তরে উহারা বলিবে, 'আল্লাহ্, যিনি আমাদিগকে বাকশক্তি দিয়াছেন তিনি সমস্ত কিছুকে বাকশক্তি দিয়াছেন। তিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন প্রথমবার এবং তাঁহারই নিকটে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।'
'তোমরা কিছু গোপন করিতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না; উপরন্তু তোমরা মনে করিতে যে, তোমরা যাহা করিতে তাহার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না" [ সূরা হা-মীম-সেজদাঃ ২০-২২ ]
-
উক্ত আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যারা হস্তমৈথুনকারী তারা সেদিন কত লাঞ্চিত হবে; তাদের নিজের হাত সেদিন এসব হস্তমৈথুন করার কথা প্রকাশ্যে বলবে।
ফেবুতে লেংটা মেয়ের পিক দেখে দেখে হস্তমৈথুন করছে যে তা সব গুটি গুটি করে ঐ হাত বলবে; দেহের প্রতিটি অংশ এসব হস্তমৈথুনকারীর কথা ফাঁস করে দিবে।
-
-
:
আশা করি, লেখাটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
এ কদিন কোরআন খুঁজে ফিরে আয়াত গুলো কালেক্ট করেছি।
কারণ, একজন ভাই দ্বীনের সঠিক বিষয়ে সঠিক ধারণা পাবে; ভুল করলে সংশোধন হতে পারবে। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমার এত প্রচেষ্টা।
আশা করি, আপনি আপনার নিকটস্থ ভাই-বন্ধুদেরকেও এ হস্তমৈথুন সম্পর্কে উক্ত লেখাটি পৌঁছিয়ে দিবেন।
এতে প্রচার করার জন্য আপনিও সওয়াব পাবেন।
-
সহীহ্ বোখারী'তে আছেঃ
নবী(সাঃ) বলেছেনঃ যদি আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াতও জানো; তাহলে তা প্রচার করে দাও"


#অচিনপুরের_আইয়ুব

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

Google সার্চে যেভাবে আপনার সাইট ১ম পেজে রাখবেন- একদম সহজ নিয়মে। যা এর পূর্বে আপনি জানতেন না।



Google সার্চে ১ম পেজে থাকা মানে বেশি ভিজিটর পাওয়ার। 
কিন্তু ভুল বাছাইয়ের কারনে আমরা সার্চে ১ম পেজে থাকতে পারিনা।
একটু বুদ্ধি খাটিয়েই আপনি ও Google সার্চে ১ম পেজে থাকাতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে যেতে হবে
এই লিংকে।
Google AdWords Keyword Tool নামের এই Keyword Tool সকল SEO Optimizer দের কাছর খুবই জনপ্রিয়।
এখানে গিয়ে আপনি যে ধরনের Keyword দিয়ে সাইট বানাতে চান সেই Keyword টি Enter one keyword or phrase per line তে গিয়ে টাইপ করুন।এরপর Get keyword Ideas এ Click করলে পাবেন আপনার keyword এর সকল তথ্য।যেমন keyword টিতে Advertiser Competition কেমন,গত মাসের কতবার সারচ করা হয়েছে,Global Monthly Search Volume কত এসব।আপনি এখান থেকে যে সকল keyword এ কম Advertiser Competition আছে কিন্তু Local Search Volume বেশি সে সকল keyword গুলো আপনি বেছে নিন। 
যেমন মনে করুন আপনি গান ডাউনলোড (song Download) নিয়ে একটি সাইট বানাবেন।কিন্তু song Download keyword টিতে খুব বেশি Advertiser Competition রয়েছে। তাই এই keyword টি দিয়ে আপনি search এ প্রথমে থাকা খুব কঠিন।

কিন্তু আপনি যদি (song marathi,dhoom download,) keyword টি নিয়ে সাইট বানান কারন এ সকল keyword গুলোর Advertiser Competition কম কিন্তু এতে Local Search Volume বেশি। 
তাই যদি আপনার keyword টির বিপরীতে সাইটের content যদি ভালো হয় তবে আশা করা যায় আপনি ঐ keyword এর বিপরীতে Google সার্চে ১ম পেজে থাকবেন। 
কারন আমরা জানি আপার কেস থেকে লোয়ার কেসে অনেক বেশি হিট পাওয়া যায়। 
তো চেস্টা করেই দেখুন।

আপনিও হোন একজন সফল ব্লগার, পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল।

 ব্লগিং করে যেভাবে সফল হতে পারবেন ঃ-


ব্লগ শব্দটি weblog থেকে এসেছে।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয়। 
জন বার্জান সর্বপ্রথম এটি ব্যবহার করেন। 
তিনি মার্কিন নাগরিক ছিলেন।
পরবর্তীতে শব্দটিকে দুইভাগে ভাগ করা হয় we blog এবং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পায়।
যদিও কিছু দিন আগেও অনেকে ভাবতেন ব্লগিং মানে নাস্তিকতা।
এখন সে অপবাদ কিছুটা হলেও কমেছে। 
তবে এখনো কিছু সাধারণ পাবলিক আছে যারা ব্লগিং করা নাজায়েজ বলে থাকে। 
তাদের সাথে আমার কোন তর্ক নাই। তাদের বুঝানোর ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেন নাই।

যারা ব্লগিং করেন কোন একটি উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের জন্য আমার কিছু ট্রিপসঃ-
প্রথমত, দেখা উচিত ব্লগিং করার উদ্দেশ্য কি কি হতে পারে।
যদিও আমরা সব উদ্দেশ্য নোট করতে পারব না তবুও কমন কিছু উদ্দেশ্য নোট করতে পারি। 
যেমনঃ- টাকা ইনকাম, খ্যাতি অর্জন, কোন অবস্থার পরিবর্তনে প্রতিবাদ স্বরুপ।
আজকাল এই তিনটি প্রধান কারণ লক্ষ্য করা যায়। এসবের বাইরেও আরো অনেক কারণ আছে। কেউ কেউ তো নিজেই জানে না কেন ব্লগিং করছে!!! তাই তারা অন্যের লেখা কপি করে (চুরি করে) নিজের নামে চালিয়ে দেয়।
১. প্রথমে একটি টার্গেট ঠিক করুন আপনি কি বিষয়ে ব্লগিং করবেন। তা না হলে আপনি ব্লগিং করেই যাবেন অথচ কেউ উপকৃত হবে না। যখন আপনার লক্ষ্য ঠিক হয়ে যাবে তখন আপনি সে বিষয়ে সর্বোচ্ছ আপনার পাঠককে দিতে পারবেন।
২. কখনো অন্যের লেখা কপি করবেন না। এটা মারাত্নক খারাপ কাজ। এই কাজ করে আপনি কোনভাবেই লাভোবান হতে পারবেন না। আর যদি হয়ে থাকেন তবে সেটা অস্থায়ী।
৩. কখনো বিতর্কিত কিছু লিখবেন না। আর যদি লিখে থাকেন তবে সেখানে অন্য কারো বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত করবেন না।
৪. কিছু লেখার আগে প্রচুর স্টাডি করুন। তাহলে পাঠক আপনার লেখা খুজে বের করে পড়বে। আপনি যেখানেই ব্লগিং করুন না কেন আপনার লেখা পড়লেই আপনাকে চিনতে পারবে। সব সময় নিজের স্বকীয়তা ধরে রাখুন।
৫. ব্লগিং করে টাকা ইনকাম যদি উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তবে এমন কিছু নিয়ে লিখুন যা পড়ে পাঠক লাভোবান হয় এবং আগ্রহ বাড়ে। পাঠক ধরে রাখতে না পারলে ব্লগিং করে আনন্দ কোথায়? তাছাড়া যখন আপনার জন্য ভিজিটর মানেই টাকা তখন তো সাবধানী হয়ে ব্লগিং করা উচিত।
৬. লেগে থাকার মানষিকতা থাকতে হবে। ব্লগিং করে কেউই রাতারাতি সফল হয় নি। লেগে থাকলে যেকোন ক্ষেত্রেই সফল হওয়া যায় এই বিশ্বাস নিয়েই কাজ করতে হবে।
৭. ভিজিটর এট্রাক্ট করতে কখনোই এমন কোন টাইটেল দিবেন না যা আপনার ব্লগের সাথে সামঞ্জস্য নয়। ভিজিটর বাড়াতে সব সময় লেখার মানের দিকে গুরুত্ত্ব দিন।
৮. সব সময় রেফারেন্স ব্যবহার করুন। অন্যের কোন উক্তি বা ছবি ব্যবহার করার আগে জেনে নিন তা ব্যবহারে বাধ্যবাদকতা আছে কি না।
৯. উৎসাহ দিতে ভুলবেন না। আপনার পাঠককে সব সময় উৎসাহ দিন যেনো আনন্দের সহিত আপনার ব্লগ পড়তে পারে। শুধুমাত্র দ্বিধাহীন বক্তব্য দিয়ে গেলে পাঠক আপনার ব্লগের স্বাদ খুজে পাবে না।
১০. পরিপাটি ব্লগ সাজান। সৌন্দর্য সবাই বুঝে ও প্রছন্দ করে। তাই ব্লগকে পরিপাটি করে সাজান।
গুছানো যেকোন কিছু দেখতেও ভালো লাগে। কথায় আছে, প্রথমে দর্শন দারী পরে গুন বিচারী।
এগুলো দেখে চললে আপনি সফল ব্লগার হতে পারবেন 

চাঁদনী রাতের প্রেমময় গল্প- আপনি একবার হলেও পড়ুন।



মনে আছে তোমার? সে'দিন রাতে- চাঁদ দেখার নেশায়,তুমি-আমি পদ্মার পাড়ে! রাত তখন ১১:২০ মিনিট। তখনো চাঁদ উঠেনি। সারে বারো'টার পরে চাঁদ উঠবে। ঘুটঘুটে অন্ধকার! দু'জনের হাতেই,এন্ড্রোয়েড 'হাই পাওয়ার' এর দুটো টর্চ লাইট সংযুক্ত স্মার্ট ফোন। গ্যাস লাইট এমনকি ম্যাচও সাথে ছিলো না। (যতক্ষন ওর সাথে থাকি,ম্যাচ/গ্যাস এমনকি ব্রি/সিগারেট কিচ্ছু রাখিনা। কোনো ক্রমে দেইখা ফালাইলে,অস্থির বানায়া ছাইড়া দিবো) রাতের বেলায়,এই জায়গা'টা নাকি খুব ভয়ংকর! কোনো না কোনো সময়,এইখানে একটা কিছু ঘটবেই। সবচে' বড় কথা,ছিনতাই কারি'রা প্রতি রাইতে এইখানে আড্ডা দেয়। দিনের বেলায়,এখানে হাজারো মানুষের ঢল থাকে। -লাবু,চলো তো যাইগে? চাঁদ হ্লার'পু,আইজকা উঠবো না। _কাল্কে রাত্রে,বারোটা ষোঁল মিনিটে চাঁদ উঠছিলো। আমি টাইম দেখছিলাম। আজ একটু পর উঠবো... তারমানে,আইজকা নিশ্চিৎ কট খাইছি! হয় ভূতের কাছে,নাহয় ছিন্তাইকারী খানকির পুলা'গো হাতে। মাঝ রাতে- নদীর পাড়ে বসে,চাঁদ দেখার 'সখ' বহু দিনের। দু'জন একসাথে,চাঁদের রুপে গা ভিঁজাবো! শর্ত ছিলো- একজন-আরেক জনের দিকে তাকাতে পারবো বাট কারো প্রসংশা কুড়াবো না। বাসায় কেউ নেই- 'ওর' আজ বাসায় যাওয়ার তাড়া নেই। একটু পাগ্লামি হলে,ক্ষতি কি? এই'টুকু পাগ্লামি না হলে ভালবাসা'টা যেনো পূর্ণতাই পাবেনা। চাঁদ উঠেছিলো... রাত তখন ১২:৩৬ মিনিট! ঘুটঘুটে অন্ধকার! বালু উড়ছে,হঠাৎ ই বাতাস শুরু হয়ে গেলো। আকাশে এতটুকুও মেঘ নেই। তার মানে,বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। বালু উড়ে এসে,চুল সহ শরির ভিঁজিয়ে দিচ্ছে। বালু'র বৃষ্টি'তে ভিঁজতেছি দু'জন... তোমার বাম হাত- দু'রানের চিপায় নিয়া,কেঁচকি মাইরা বসে আছি। ডান হাত দুটো একে অপরের মুষ্টিতে,মিলনে কাতর! তুমি-আমি,চাঁদ দেখতেছি..... ঘুটঘুটে অন্ধকার! -'তুমি,চাদের চেয়েও সুন্দর! দু'টু চাদ,আজ একসাথে পেয়েছি...' এক ঝটকায়,বাম হাত খুলে নিলে। হাতের মুট ছেড়ে দিয়ে__ (শর্ত মানতে পারিনি,হুট করেই প্রসংশা করে ফেললাম। এতটুকু ধৈর্য্য,আমার ছিলো না। ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ কি..? সেটা,জানা ছিলো না।) এক ফাঁলি মেঘ এসে,চাঁদের মুখে জড়ো হলো... অন্ধকার! ঠোটের কোণে,হাসি টুকুও মিলিয়ে গেছে.... -'চলো... _আরেকটু বসি -কয়টা বাজে দেখছো..? _মারছেরে.... দেড়'টা বাইজা গেছে। কোমড়ে-জামায় গুঁজে রাখা চাবি টা নিয়ে,দরজা খুলে সুইচ দিলাম। লাইট জ্বলে উঠেই,আবার নিভে গেলো। কারেন্ট গেছে___ বাকি রাত টুকুও,চাঁদ দেখেই কেটেছে... জানালা খোলা। তোমার সমস্থ শরীর,ছড়িয়ে রাখা আমার ওপর। গতরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি... কিছু সময় পর পর,বার বার চুমো খাচ্ছি.... তোমার সমস্থ নিঃশ্বাস,নেশা হয়ে আমার ভিতরে ঢুকছে......

ইরাবতীর সুখের সংসার- না পড়লে চরম মিস।



- আসসালামু আলাইকুম, গুড মর্নিং সুইটহার্ট। - ওয়ালাইকুমুস সালাম, আরেকটু ঘুমাতে দাও প্লিজ। - না, আর ঘুমাতে হবে না। ৭.০০ টা বেজে গেছে। অফিস যাবে তাড়াতাড়ি ওঠো! - ধুর! বাদ দাও অফিসের চিন্তা। আজ একটু ঘুমিয়ে নেই। কাল থেকে সকাল সকাল উঠে যাবো - কাল বলতে কোন দিন নাই। যা করার আজ থেকে করতে হবে! তাড়াতাড়ি ওঠো! নয়তো আমি পানি ঢেলে দিচ্ছি। ইরার চেঁচামেচিতে আর শুয়ে থাকতে পারি না। চোখ কচলাতে কচলাতে তাকাই। দুচোখে এখনো দুনিয়ার ঘুম। চোখ কচলানোর মধ্যেই টের পাই কপালের মধ্যে তার ঠোটের আলতো এক ছোয়া। আর দুই কাধে মাখনের মতো নরম দুটো হাতের স্পর্শ। পরক্ষনেই ধাক্কা দিয়ে সোজা করে বসিয়ে দেয় । আমি একটু চোখ খুলে থাকাই। আলসেমি জড়ানোই থাকে। ইরা চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার এসে বলে- - এখনো ঘুম পাচ্ছে? - হুম। - বুঝেছি, পানি লাগবে! - না। ইরা কপট রাগ দেখিয়ে আমাকে বিছানা থেকে টান দিয়ে নামিয়ে দেয়। রক্তচক্ষু করে ঝাড়ি দিয়ে বলে, বাথরুমে ঢুকো। আমি সুবোধ বালকের মত বাথরুমে ঢুকে যাই। ফ্রেশ হয়ে আসি। চা খাই। হঠাৎ ঘড়ির তাকিয়ে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। তাড়াহুড়ো করে বের হই। পেছন থেকে ইরা ডাক দেয়- - এই যে শুনো। - তাড়াতাড়ি বল। - উফ! ভূলোবাবু! ভুলে যাও কেন?, বুঝি না। আমার সারাদিনের এনার্জি দিয়ে যাও। ইরা গজরাতে গজরাতে আমার পাশে আসে। আমার সোজাসুজি সামনে দাড়িয়ে দুই হাত আমার দুই কাধে রাখে। চোখবুঝে দাড়িয়ে থাকে। আমি তার কপালে আদর দিয়ে একটা চুম্বন একে দেই। তারপর অফিসের উদ্দেশ্যে চলি। ***** ইরিনা জামান ইরা, আমার স্ত্রী। শুধু স্ত্রী না, আমার সব। ইরা ফর্সা রঙের অধিকারী না । তবুও আমার কাছে সে সুন্দরী । তার ডাগর ডাগর দুই নয়নের দিকে তাকিয়ে আমি পাড়ি দিতে পারি এ মহাবিশ্ব। আমি আমার ইরাকে ভালোবাসি। ইরাকে আমি হারাতে চাইনা । ইরার সাথে আমার প্রথম দেখা তার বাসায়। অনেকটা সিনেমার কাহিনী! ঘটনাটা খুলে বলি। তখন থাকতাম বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ । একটা মেসে আমি আর আমার এক বন্ধু সহ আরো কয়েকজন। বেশ কয়েকদিন ছিলাম ঐ এলাকায়। আমরা যে গলিটাতে থাকতাম তার শেষ মাথায় ইরাদের বাসা। ইরা প্রতিদিন সকালে কলেজে যেত,দুপুরে আসত। আবার বিকালে কোচিংয়ে যেত সন্ধ্যায় আসত। একদিন ইরা সন্ধ্যার দিকে কোচিং থেকে আসছিল। আমার রুমমেটরা গলিতে অড্ডা দিচ্ছিল। সাথে আমার ঐ বন্ধুটিও ছিল। ইরাকে ওরা রাস্তায় দাড় করালো। যে যা পারছে মন্তব্য ছুড়ছে । আমি একটু দূরে দোকানে বসেছিলাম। মাঝে মধ্যে তাকাচ্ছিলাম । দৃষ্টি টা ওখানেই আটকে গেল । ইরার কোন ভাবান্তর নেই । সবাই মিলে তাকে হেনস্থা করছে। আমি দেখলাম সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে । গাল বেয়ে পানি পড়ছে । আমি বসা থেকে উঠলাম। হঠাৎ কেউ একজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ওয়া সরে গেলো। ইরা তার বাসায় চলে গেলো। আমিও আমার যায়গায় বসে পড়লাম। মাগরিবের নামাজ পড়ে বাসায় গিয়ে বন্ধুকে বললাম চল ঘুরে আসি। বাইকে করে সোঝা ইরাদের বাসায় চলে গেলাম। ইরার আম্মু গেট খুলে দিলেন। আমি বললাম আন্টি ইরাকে ডাকেন। আন্টি অনেকটা চমকে গেলেন। আমিও মোটামুটিভাবে আরেকটু জোর দিয়ে বললাম ইরাকে ডাকেন। ডাকা লাগলো না। চেচামেচিতে ইরা নিজেই বেরিয়ে আসল। আমি আমার বন্ধুকে ধাক্কা দিয়ে ইরার সামনে দিয়ে বললাম সরি বল। ইতস্থ করছে দেখে জোরে ধমক দিলাম। তারপর তাকে হালকা একটু নসিহত করলাম । রাগে গজগজ করতে বেরিয়ে গেলো। আমি বন্ধুর পক্ষ থেকে আবার ইরার কাছে ক্ষমা চাইলাম। সেদিন প্রচন্ড রেগে ছিলাম। আমি আমার রুমমেটদের সাথে মারামারি করেছিলাম । সেদিনের পর থেকে ইরাদের পরিবারের সাথে আমার সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। মাঝে মাঝে ইরা আমার কাছে আসত। আন্টি এটা সেটা বানিয়ে পাঠাতেন। ঘটনার মাসখানেক পর ইরা কোচিং ছেড়ে দিলো। টাকার অভাবে। তাই আমি মাঝে মাঝে ইরাকে তার বাসায় গিয়ে পড়াতাম। আমি জেনেছিলাম ইরা আর তার মা একা থাকেন বাসায়। ইরার বাবা নেই। মা বাসায় সেলাই কাজ করেন। ইরাও মায়ের সাথে কাজ করে পড়ালেখার ফাঁকে। শুধু যে পড়ানো তা না। আমি এক আকর্ষণে তার কাছে ছুটে যেতাম । ইরার কোন বন্ধু বান্ধবী ছিল না । আমি যে আস্তে আস্তে খুব গভীর ভাবে ইরার প্রেমে পড়ে গিয়েছি, সে কথা নিজে বুঝলেও তাকে বুঝাতে আমার ভয় লাগতো । যদি মনে করে সে গরীব বলে আমি দয়া করছি । আমার কাছ থেকে চলে যায়, আমি তখন কি করব ? সেদিন পড়ানো শেষ করে খুব সাহস করে ইরার হাতে দুই লাইনের একটা চিঠি দিয়ে আসলাম। বললাম উত্তর আমাকে মোবাইলে জানাবে। একদিন দিন পার হয়ে গেল কোন উত্তর নাই। দ্বিতীয় দিন আমার সেই রুমমেট প্লাস বন্ধু যাকে ইরার কাছে সরি বলতে বলেছিলাম সে আমাকে বলল ইরা নাকি তাকে দিয়ে খবর পাঠিয়েছে যাওয়ার জন্য। তাকে জড়িয়ে ধরলাম । সে শুধু বলেছিল – আমার উপর আর রাগ করিস না আর। আমি ভাল হয়ে গেছি। ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে শুধু জিজ্ঞেস করলাম , কবে যেতে বলেছে ? ইরা আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। আমি যাওয়ার পর ইরা প্রথম যে কথা বলল। তা হলো- আমার সারা জীবনের সঙ্গী হতে পারবে? কানে কানে বললাম – তোমার সঙ্গী হলে আমার রাণী হয়ে থাকবে তো ? ইরা হাসলো । আস্তে আস্তে দিন যায় । রাত পোহায় । আমার পড়াশুনা শেষে একটা চাকরিও জুটে যায় । আম্মাকে ইরার ছবি দেখালাম। আমার কোন পছন্দ আমার আব্বা আম্মা ফেলে দেন নি কোনদিন। এবারও ব্যতিক্রম হলো না। শুধু জিজ্ঞেস করলেন এই মেয়েটাকে বিয়ে করলে আমি খুশি হবো কি না? আমার খুশিতেই আমার আব্বা আম্মা খুশি। আমিও ইরার মত বউ পেয়ে খুশি। ******** অফিস থেকে ফিরতে বিকাল হয়ে যায়। অসরের নামাজ শেষ হয় হয় প্রায়। বাসায় এসে কলিং টিপ দেই। ইরা দরজা পুরো না খুলে একটু ফাক করে জিজ্ঞেস করে- -নামাজ পড়ে এসেছো? -না! এইতো পড়বো। -ইরা রাগ হয়ে যায়! জগতের আশ্চর্য কয়েকটি সৌন্দর্যের একটি হল ডাগর ডাগর নয়নের মেয়েদের নাকের পটকরা ফুলিয়ে রাগ করতে দেখা। সেই সৌন্দর্যটা ইরার আছে। আমি দেখি। মন ভরে দেখি। কিন্তু বেশিক্ষণ দেখা যায় না। তার আগেই দড়াম করে দরজা বন্ধ হয়ে যায় এবং ওপাশ থেকে মায়াবিনীর চেঁচামেচি শোনা যায়, "নো নামাজ নো এন্ট্রি, নামাজ না পড়লে এই বাসার দরজা চিরতরে বন্ধ। দেখি নামাজ না পড়ে কে এই বাসায় ঢুকে। ভুলোবাবু, আলসেবাবু, ঘুমবাবু কোন বাবুকেই আমি চিনি না।" আমি হাসি। গর্বের হাসি। তৃপ্তির হাসি। হাসতে হাসতে চলে যাই মা’বূদের কাছে। শুকরিয়া জানাই এমন একজন মানুষ আমার তাকদীরে লিখে দেওয়ার জন্য।

আহলে হাদীস যুবসংঘ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। যা আপনার জানা প্রয়োজন।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
"কুল হা-যিহী সাবীলী আদ'ঊ ইলাল্লা-হি 'আলা বাছীরাতিন আনা ওয়া মানিত্তাবা'আনী; ওয়া সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন"।
অর্থঃ বলুন ইহাই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীগণ ডাকি আল্লাহর দিকে জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আল্লাহ পবিত্র এবং আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত নই। (সুরা ইউসুফ-১০৮)


'আহলেহাদীছ' অর্থ কুরআন ও হাদীছের অনুসারী। দুনিয়ার মানুষকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মর্মমূলে জমায়েত করার জন্য ছাহাবায়ে কেরামের যুগ হতে চলে আসা নির্ভেজাল ইসলামী আন্দোলনই 'আহলেহাদীছ আন্দোলন'। 'আহলেহাদীছ' কোনো মাযহাব বা মতবাদের নাম নয়; এটি একটি পথের নাম। সে পথ আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র পথ; পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথ। ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে ইযাম ও সালফে ছালেহীন সর্বদা এ পথেই দাওয়াত দিয়ে গেছেন। মানুষের ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের যাবতীয় হেদায়েত এ পথেই মওজুদ রয়েছে। 'আহলেহাদীছ আন্দোলন সেই পথেই ডাকে। এই আন্দোলন মুমিনের ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তির আন্দোলন।
সংগঠনের নামঃ
বাংলাতে- বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ
আরবীতে- জমঈয়তে শুব্বানে আহলিল হাদীছ বাংলাদেশ
ইংলিশ- Bangladesh Ahlehadeeth Youth Association
প্রতিষ্ঠাকালঃ ৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭৮ খৃঃ, রবিবার
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
নির্ভেজাল তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে কিতাব ও সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করা। আক্বীদা ও আমলের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধন আহলেহাদীছ আন্দোলনের সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য।
মূলনীতিঃ বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘের প্রধান মূলনীতি ৫টি।
১. কিতাব ও সুন্নাতের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা
( এর অর্থ- পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আদেশ-নিষেধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং তাকে নিঃশর্তভাবে ও বিনা দ্বিধায় কবুল করে নেওয়া ও সে অনুযায়ী আমল করা)
২. তাক্বলীদে শাখছী বা অন্ধ ব্যক্তিপূজার অপনোদন
( তাক্বলীদ অর্থ- শারঈ বিষয়ে বিনা দলীলে কারো কোনো কথাকে চোখ বুঁজে মেনে নেওয়া। তাক্বলীদ দু'প্রকার- জাতীয় ও বিজাতীয়। জাতীয় তাক্বলীদ বলতে ধর্মের নামে মুসলিম সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন মাযহাব ও তরীকার অন্ধ অনুসরণ বুঝায়। বিজাতীয় তাক্বলীদ বলতে বৈষয়িক ব্যাপারের নামে সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রভৃতি বিজাতীয় মতবাদের অন্ধ অনুসরণ বুঝায়)
৩. ইজতেহাদ বা শরী'আত গবেষণার দুয়ার উন্মুক্তকরণ
( ইজতিহাদ অর্থ- যুগ-জিজ্ঞাসার জওয়াব পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ হতে বের করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। এই অধিকার ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল যুগের সকল যোগ্য আলেমের জন্য খোলা রাখা)
৪. সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে পরিগ্রহণ
( এর অর্থ- ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে গ্রহন করা)
৫.মুসলিম সংহতি দৃঢ়করণ
( এর অর্থ- পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আদেশ-নিষেধকে নিঃশর্তভাবে মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলা এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া )
উপরোক্ত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মূলনীতি সমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে 'বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ' চায় এমন একটি ইসলামী সমাজ, যেখানে থাকবেনা প্রগতির নামে কোনো বিজাতীয় মতবাদ; থাকবেনা ইসলামের নামে কোনোরুপ মাযহাবী সংকীর্ণতাবাদ।
কর্মসূচীঃ
বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ- এর কর্মসূচী ৪টি। যথা- ১. তাবলীগ, ২. তানযীম, ৩. তারবিয়াত ও ৪. তাজদীদে মিল্লাত।
১. তাবলীগ বা প্রচারঃ
এ দফার করণীয় হলো, তরুণ ছাত্র ও যুবসমাজের নিকট নির্ভেজাল তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। তাদেরকে যাবতীয় রকমের শিরক, বিদ'আত ও তাক্বলীদী ফির্কাবন্দীর বেড়াজাল হতে মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও খোলা মনে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী নিজের জীবন ও পরিবার গঠনে উদ্বুদ্ধ করা। তাদের মধ্যে ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান অর্জন এবং জীবনের সকল দিক ও বিভাগে উহার পূর্ণাঙ্গ অনুশীলনের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করা।
২. তানযীম বা সংগঠনঃ
এ দফার করণীয় হলো, যেসকল যুবক নিজেদেরকে খাঁটি ইসলামী চরিত্রে গড়ে তুলতে এবং সমাজের বুকে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী জীবনবিধান কায়েমের আন্দোলনে অংশ নিতে প্রস্তুত, তাদেরকে এই সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করা।
জনশক্তি স্তরঃ এ সংগঠনের জনশক্তি স্তর ৩টি। যথা- প্রাথমিক সদস্য, কর্মী ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য। অনধিক ৩২ বছরের যে সকল তরুণ ছাত্র ও যুবক ক) নিয়মিত ছালাত আদায় করেন খ) কুরআন ও সুন্নাহর সিদ্ধান্তকে বিনা শর্তে মেনে নেওয়ার স্বীকৃতি দেন গ) নির্ধারিত সিলেবাস অধ্যয়নপূর্বক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ঘ) সংগঠনের নির্দেশ পালনে প্রস্তুত থাকেন এবং ঙ) ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষনে রাযী থাকেন। তিনি নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে এই সংগঠনের 'প্রাথমিক সদস্য' হিসেবে গণ্য হবেন। এভাবে ধাপে ধাপে পরবর্তী স্তরে উত্তীর্ণ হবেন। এছাড়া শাখা, এলাকা, উপযেলা, যেলা ও কেন্দ্র এই পাঁচটি সাংগঠনিক স্তর রয়েছে।
৩. তারবিয়াত বা প্রশিক্ষনঃ
এ দফার উদ্দেশ্য, সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ যুবকদের নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যিন্দাদিল মর্দে মুজাহিদ রুপে গড়ে তোলা এবং ধর্মের নামে প্রচলিত যাবতীয় কুসংস্কার ও জাহেলিয়াতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুকাবিলায় ইসলামকে বিজয়ী করার মত যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী তৈরি করার ব্যবস্থা গ্রহন করা।
৪. তাজদীদে মিল্লাত বা সমাজ সংস্কারঃ
এ দফার করণীয়, আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র বিধান অনুযায়ী সমাজের বুকে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো এবং এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সংশোধনের ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে চাই--
(১) শিক্ষা সংস্কারঃ
(ক) দেশে প্রচলিত ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার দ্বি-মুখী ধারাকে সমন্বিত করে আমরা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক একক ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চাই। যেখানে দেশের প্রচলিত বিভিন্ন ধর্ম ও ইসলামী মাযহাবী পাঠ্য বইসমূহ ঐচ্ছিক হিসেবে সিলেবাসভুক্ত হবে।
(খ) ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শিক্ষার পরিবেশ অথবা একই প্রতিষ্ঠানে পৃথক শিফটিং পদ্ধতি চালু করে উভয়ের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও পৃথক কর্মক্ষেত্র ও কর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা যরুরী এবং
(গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে যাবতীয় দলাদলি ও রাজনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ নিষিদ্ধ করা উচিত এবং প্রয়োজনবোধে সেখানে বয়স, যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করা আশু যরুরী।
(২) অর্থনৈতিক সংস্কারঃ
হালাল রুযী ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। অথচ সূদ-ঘুষ, জুয়া-লটারী যা ইসলামে হারাম ঘোষিত হয়েছে এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির নোংরা হাতিয়ার হিসেবে যা সর্বযুগে সকল জ্ঞানী মহল কর্তৃক নিন্দিত হয়েছে, সেই প্রকাশ্য হারামী অর্থ ব্যবস্থাকে বাংলাদেশের মুসলিম সরকারগুলো সর্বদা চালু রেখেছে। এতে ধনীদের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে ও গরীবেরা আরও নিঃস্ব হচ্ছে। যার পরিণতি স্বরুপ সামাজিক অশান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে দেশী ও বিদেশী পুঁজিবাদী সূদখোর এনজিও সমূহের অপতৎপরতা। যারা হিংস্র অক্টোপাসের মত সমাজদেহকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে সাধারণ জনগণের ঈমান ও নৈতিকতা হরণ করছে এবং সাথে সাথে এই দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু ও পরমুখাপেক্ষী করে রেখেছে, যা সম্রাজ্যবাদীদের সুদূর প্রসারী রাজনৈতিক নীল-নকশারই অংশ বলে অনেকে মনে করেন। উপরোক্ত দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা হতে সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা নিম্নোক্ত কর্মসূচীসমূহ গ্রহন করতে চাই-
(ক) শহর ও গ্রামে বায়তুল মালের সুষ্ঠু সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। (খ) সমাজকল্যাণমূলক ইসলামী প্রকল্পসমূহ গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা। (গ) অনৈসলামী অর্থব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠন করা ও সরকারের নিকটে ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালুর জন্য জোর দাবী পেশ করা। (ঘ) ব্যক্তি জীবনে যাবতীয় বিলাসিতা পরিহার করে 'অল্পে তুষ্ট থাকা'র ইসলামী নীতির বাস্তব অনুশীলন ও সকলের মধ্যে পরকালীন জওয়াবদিহির দায়িত্বানুভূতি তীব্র করা।
(৩) নেতৃত্বের সংস্কারঃ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসৎ নেতৃত্ব আজ সমাজ জীবনকে বিষময় করে তুলেছে। শান্তিপ্রিয় সৎ নেতৃত্ব সর্বত্র মুখ লুকিয়েছে। এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য পূর্বে বর্ণিত শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক কারণ দুটি ছাড়াও নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে আমরা মৌলিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি:
(ক) দল ও প্রার্থীভিত্তিক বর্তমান নেতৃত্ব ব্যবস্থা।
(খ) সৎ ও অসৎ সকলের ভোটের মূল্য ও নির্বাচনের অধিকার সমান গণ্য করা।
(গ) দলীয় প্রশাসন, দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থা।
(ঘ) সরকার ও বিরোধী দলীও রাজনৈতিক পদ্ধতি এবং হরতাল, ধর্মঘট ও মিছিলের যথেচ্চ ব্যবহার।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সামনে রেখে নেতৃত্ব সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে নিম্নোক্ত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার জন্য জাতির নিকটে পেশ করতে চাই-
(ক) সর্বত্র দল ও প্রার্থীবিহীন নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা এবং নির্বাচক ও নির্বাচিতদের জন্য নির্দিষ্ট গুণাবলী নির্ধারণ করা।
(খ) প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু করা এবং স্বাধীন ও ইসলামী বিচার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
(গ) বিরোধী দলীয় দ্বি-মুখী রাজনৈতিক পদ্ধতি বাতিল করা এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল সদস্যকে একই পরিবারভুক্ত গণ্য করে ইসলামী শূরা পদ্ধতি অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা।
(ঘ) জনগণ ও সংসদ নয়, বরং আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হিসেবে ঘোষণা করা এবং তাঁর প্রেরিত সর্বশেষ 'অহি'-র বিধান পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে সকল ক্ষেত্রে চুড়ান্ত সমাধান হিসেবে গ্রহন করা। মোটকথা মানুষের উপরে মানুষের প্রভুত্ব নয়, সবাই আমরা এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে ভাই ভাই; এমন একটা সামাজিক মানসিকতা সৃষ্টি করতে এবং 'আমর বিল মা'রুফ ও নাহি আনিল মুনকার'(সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ) -এর মূলনীতি অনুযায়ী সমাজের বুকে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য সংগঠনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন একদল ঈমানদার ও যোগ্য কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে চাই।
আয়ের উৎসঃ
যাকাত, ফিতরা ও ওশর আদায়। প্রতি স্তরের সদস্যদের এবং শাখা সমূহের নিয়মিত এয়ানত যা কেন্দ্র কর্তৃক নির্ধারিত হয়। এছাড়া আছে উপদেষ্টা ও সুধীদের দান, যুবসংঘ প্রকাশনী এবং অন্যান্য বই, সাময়িকী, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি বিক্রয়লব্ধ আয়।
ব্যয়ের খাতঃ
সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়। এছাড়া পাঠাগারের বই ক্রয়, গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের সাহায্য, বন্যা ত্রাণসহ সমাজ সেবামূলক কাজে অংশগ্রহন ও আন্দোলনের সহায়ক বিভিন্ন বই, বুকলেট, বিজ্ঞাপন, সাময়িকী, প্রকাশনা ইত্যাদি।
আমাদের দাওয়াতঃ
'বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ' এদেশে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিজয় ও বাস্তবায়ন দেখতে চায়। এজন্য রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এর তরীকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ইমারতের অধীনে পূর্ণ ইখলাছের সাথে 'দাওয়াত ও জিহাদ'-এর কর্মসূচী নিয়ে জামা'আতবদ্ধভাবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। অতএব কিতাব ও সুন্নাতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে বিশ্বাসী মুমীন ভাইদেরকে এই জিহাদী কাফেলায় শামিল হয়ে জান ও মালের কুরবানী পেশ করার উদাত্ত আহ্বান জানাই
<আরো জানতে পড়ুন>
• গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি
• আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?
• ইক্বামতে দ্বীনঃ পথ ও পদ্ধতি
• ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন
• মাসিক আত-তাহরীক
• ত্রি-পাক্ষিক তাওহীদের ডাক
এছাড়াও যুবসংঘ প্রকাশনী, হাদীছ ফাউন্ডেশন ও আহলেহাদীছ আন্দোলনের অন্যান্য বই, বুকলেট, প্রচারপত্র এবং জুমুআর খুতবাসহ সংগঠনের বিভিন্ন প্রগ্রামের লেকচারসমূহ।
[কেন্দ্রীয় কার্যালয়ঃ
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী (২য় তলা) নওদাপাড়া, পোঃ সপুরা, রাজশাহী, বাংলাদেশ] .
ওয়েবসাইটঃ

আপনিও হোন ওয়েব ডিজাইনার



আমরা যারা ওয়েব্ ডিজাইন শিখতে চাই তাদের জন্য এক বিশাল শু-খবর। 
আমরা সবাই চেষ্টা করি কোন IT center এ গিয়ে ওয়েব ডিজাইন শিখতে। 
কিন্তু বর্তমানে IT center গুলো খুব প্রোফেসনাল হয়ে গেছে। 
তাই আপনি যদি নিজে নিজে ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান তাহলে আজ একটা ওয়েবসাইট এর ঠিকানা দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি নিজে নিজে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। 
আমার দেখা সবচেয়ে ভাল একটা ওয়েবসাইট। 
এখানে রয়েছে অনেক tutorial যা দেখে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারেন। 
এখানে সব tutorial বাংলা করা। তাই আপনি খুব সহজেই ওয়েব ডিজাইন এর অনেক কিছু শিখতে পারেন। 
এখানে রয়েছে CSS, HTML, PSD to HTML, WordPress, PHP সহ অনেক কিছুর বাংলায় tutorial। 
আমিও অনেক কিছু এখান থেকে শিখেছি এবং এখনো শিখছি।

ওয়েবসাইট rrfoundation.net   

জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর। যা আপনি জানেন না।



আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শব্দ ব্যাবহার করে থাকি।
কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো আমরা অনেকেই সেগুলোর অর্থ জানি না।
আসুন আজ আমরা কিছু বহুল ব্যাবহৃত শব্দের অর্থ জেনে নিই।
যেগুলো জানা একান্ত জরুরি।


১। J.S.C – এর পূর্নরূপ — Junior School Certificate.
২। J.D.C – এর পূর্নরূপ — Junior Dakhil Certificate.
৩। S.S.C – এর পূর্নরূপ — Secondary School Certificate.
৪। H.S.C – এর পূর্নরূপ — Higher Secondary Certificate.
৫। A.M – এর পূর্নরূপ — Ante meridian.
৬। P.M – এর পূর্নরূপ — Post meridian.
৭। B. A – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Arts.
৮। B.B.S – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Business Studies.
৯। B.S.S – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Social Science.
১০। B.B.A – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Business Administration
১১। M.B.A – এর পূর্নরূপ — এর পূর্নরূপ — Masters of Business Administration.
১২। B.C.S – এর পূর্নরূপ — Bangladesh Civil Service.
১৩। M.A. – এর পূর্নরূপ — Master of Arts.
১৪। B.Sc. – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Science.
১৫। M.Sc. – এর পূর্নরূপ — Master of Science.
১৬। B.Sc. Ag. – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Science in Agriculture .
১৭। M.Sc.Ag.- এর পূর্নরূপ — Master of Science in Agriculture.
১৮। M.B.B.S. – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Medicine and Bachelor of Surgery.
১৯। M.D. – এর পূর্নরূপ — Doctor of Medicine./ Managing director.
২০। M.S. – এর পূর্নরূপ — Master of Surgery.
২১। Ph.D./ D.Phil. – এর পূর্নরূপ — Doctor of Philosophy (Arts & Science)
২২। D.Litt./Lit. – এর পূর্নরূপ — Doctor of Literature/ Doctor of Letters.
২৩। D.Sc. – এর পূর্নরূপ — Doctor of Science.
২৪। B.C.O.M – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Commerce.
২৫। M.C.O.M – এর পূর্নরূপ — Master of Commerce.
২৬। B.ed – এর পূর্নরূপ — Bachelor of education.
২৭। Dr. – এর পূর্নরূপ — Doctor.
২৮। Mr. – এর পূর্নরূপ — Mister.
২৯। Mrs. – এর পূর্নরূপ — Mistress.
৩০। Miss – এর পূর্নরূপ — used before unmarried girls.
৩১। M.P. – এর পূর্নরূপ — Member of Parliament.
৩২। M.L.A. – এর পূর্নরূপ
Member of Legislative Assembly.
৩৩। M.L.C – এর পূর্নরূপ — Member of Legislative Council.
৩৪। P.M. – এর পূর্নরূপ — Prime
Minister.
৩৫। V.P – এর পূর্নরূপ — Vice President./ Vice Principal.
৩৬। V.C-এর পূর্নরূপ — Vice Chancellor.
৩৭। D.C– এর পূর্নরূপ — District Commissioner/ Deputy Commissioner.
৩৯। S.P– এর পূর্নরূপ — Police Super.
৪০। S.I – এর পূর্নরূপ — Sub Inspector Police.

আজ এপর্যন্তই।
আগামীতে আরোও কিছু জানানো হবে।
সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।

চরমোনাই পীর কি সত্যিই আমিরুল মুজাহীদ? যদি হয় তাহলে তা কিভাবে?



চরমোনাই পীরের নামের আগে আমিরুল মমুজাহিদিন লেখা দেখে আমার নানা কিছু প্রশ্ন করেছে।
আমি জবাব দিতে পারিনি।
পীরের মুরিদেরা আপনারা দেন। ০১) এই ব্যাটাকে আমিরুল মুজাহিদিন উপাধি দিল কে? ০২) এই ব্যাটা যদি আমিরুল মুজাহিদিন হয় তাহলে আল-কায়িদা, আইএস কি একে চোখে দেখেনা? ০৩) এই ব্যাটা আমিরুল মুজাহিদিন হওয়া সত্ত্বেও সারা দেশে বিনা বাঁধায় (পুলিশ প্রোটেকশনে) মাহফিল করে। আর কখনো এই ব্যাটা মুজাহিদ হিসেবে জেলে যায়নি। কারণ কি? ০৪) বাংলাদেশে আমিরুল মুজাহিদিন আছে অথচ শাইখ বারাক ওবামা বসে বসে আঙ্গুল চুষছেন। ঘটনা কি? ০৫) বর্তমানে মুজাহিদ মানেই বোমাবাজ। তো বাংলাদেশের শীর্ষ ১০০ জঙ্গীর তালিকায় এর নাম কি ০১ নম্বরে আছে (যেহুতু এই ব্যাটা আমিরুল মুজাহিদিন)? →গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল।

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু কথা জানুন। যা আপনি পূর্বে জানতেন না।



১৯২০, ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৭: সাত বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতিরজনকের প্রাতিষ্ঠানিক ছাত্রজীবনের সূচনা হয়। ১৯২৯: বঙ্গবন্ধুকে গোপালগঞ্জ সীতানাথ একাডেমীর (বা পাবলিক স্কুলে) তৃতীয় শ্রেনীতে ভর্তি করা হয়। ১৯৩৪: মাদারীপুরে ইসলামিয়া হাইস্কুলে পড়ার সময় বঙ্গবন্ধু বেরীবেরি রোগে আক্রান্ত হন। ১৯৩৭: অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধুর লেখাপড়া বন্ধ ছিলো, আবার তা শুরু হয়। ১৯৩৮: ১৬ জানুয়ারী: বাংলার প্রধামন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল পরিদর্শনে এলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ১৯৩৯: সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার দু:সাহসের কারণে বঙ্গবন্ধু প্রথম কারাবরণ করেন। ১৯৩৮: মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি বেগম ফজিলাতুননেসার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৪২: অসুস্থতার কারণে একটু বেশীবছর বয়সে বঙ্গবন্ধু এন্ট্রাস (প্রবেশিকা) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এই বছরেই কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। এই কলেজের বেকার হোষ্টেলের ২৪নম্বর কক্ষে তিনি থাকতে শুরু করেন। ১৯৪৪: কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদান করেন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন। এই বছরই ফরিদপুর ডিষ্টিক্ট এসোসিয়েশনের সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৪৬: বঙ্গবন্ধু বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় কলকাতা ইসলামি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন। এই বছরই প্রদেশিক নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৭ : বঙ্গবন্ধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। ১৯৪৭ : ৬ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় গণতান্ত্রিক যুব কর্মীদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৮ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৮ : ২৩ ফেব্রুয়ারী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন উর্দুকে পাকিস্থানের রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে বঙ্গবন্ধু তার তৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেন। ১৯৪৮ : ২ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৪৮ : ১১ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সাধারণ ধর্মঘট আহবানকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৯৪৮ : ১৫ মার্চ, বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তিপান। ১৯৪৮: ১১ সেপ্টেম্বর: ফরিদপুরের কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য বঙ্গবন্ধু আবার গ্রেফতার হন। ১৯৪৯ : ২১ জানুয়ারী: বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তিপান। ১৯৪৯ : ৩ মার্চ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা তাদের দাবী দাওয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে ধর্মঘট ঘোষণা করলে বঙ্গবন্ধু তার প্রতি সমর্থন জানান। ১৯৪৯ : ২৯ মার্চ: আন্দোলনে যোগদেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুকে অযৌক্তিক ভাবে জরিমানা করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার প্রতি সমর্থন জানান। ১৯৪৮ : ২০ এপ্রিল: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সৃষ্ট আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৪৯ : ২৩ জুন: পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং জেলে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ : ২৭ জুলাই: বঙ্গবন্ধু জেল থেকে মুক্তিপান। মুক্তি পেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে না গিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৪৯ : পূর্ব বাংলায় দুর্ভিক্ষ শুরু হলে খাদ্যের দাবীতে তিনি আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৫০ : ১ জানুয়ারী: এই আন্দোলনের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৫২ : ১৪ ফেব্রুয়ারী: বাংলা রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন। ১৯৫২ : ২১ ফেব্রুয়ারী: রাষ্ট্রভাষার দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চলে। শহীদ হন সালাম, রফিক, বরক সহ অনেকে। জেল থেকে বঙ্গবন্ধু এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন এবং একটানা ৩ দিন অব্যাহত রাখেন। ১৯৫২ : ২৭ ফেব্রুয়ারী: টানা অনশনে অসুস্থ বঙ্গবন্ধুকে স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তিদেয়া হয়। ১৯৫৩ : ১৬ নভেম্বর: প্রাদেশিক আওয়ামী মুসলীম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ : ৪ ডিসেম্বর: প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সব বিরোধী দল মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। ১৯৫৪ : ১০ মার্চ: সাধারণ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে বিজয়ী হয়। বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের আসনে বিজয়ী হন। ১৯৫৪ : ২ এপ্রিল: যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। ১৯৫৪ : ১৪ মে: বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় বয়:কনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৫৪ : ৩০ মে: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী সভা বাতিল করেন। বঙ্গবন্ধু এ দিনই করাচী থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং গ্রেফতার হন। ১৯৫৪ : ২৩ নভেম্বর: বঙ্গবন্ধু জামিনে মুক্তি পেলে জেল গেটেই তাকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৫৪ : বঙ্গবন্ধু কারাগার থেমে মুক্তিপান। ১৯৫৫ : ৫ জুন: বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ : ১৭ জুন: ঢাকার পল্টনের জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু প্রথম পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন দাবী করেন। ১৯৫৫ : ২১ অক্টোবর: আওয়ামী মুসলিম লীগের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশন ধর্ম নিরপেক্ষতা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ প্রত্যাহার করে নতুন নামকরণ করা হয় আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ : ৭ অক্টোবর: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার শাহেদ আলীর উপর আক্রমন এবং তার মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে ইস্কান্দার মির্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারী করেন। ১৯৫৮ : ১২ অক্টোবর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এসময় তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। ১৯৫৯ : ৫ অক্টোবর: বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান কিন্তু তার গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। এ সময় তিনি বার বার গ্রেফতার হন এবং ছাড়া পান। ১৯৬২ : ২ জুন: চার বছরের সামরিক শাসনের অবসান ঘটলে ১৮ জুন শেখ মুজিব মুক্তি লাভ করেন। ১৯৬৪ : ২৫ জানুয়ারী: বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবত করা হয়। ১৯৬৪ : ৫, ১১ মার্চ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিরোধি দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়। ১৯৬৪ : ২৬ জুলাই: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধি দল কঅপ (কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি গঠিত হয়।) ১৯৬৫ : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কঅপ এর পক্ষ থেকে মিস ফাতিমা জিন্নাহকে প্রার্থী দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু ফাতিমা জিন্নাহর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ১৪দিন আগে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৬ : ১৮ মার্চ: আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয়। এরপর তিনি ৬ দফার পক্ষে দেশ ব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন এ সময় তাকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বার বার গ্রেফতার করা হয়। ৩ মাসে তিনি ৮ বার গ্রেফতার হন। শেষ বার তাকে গ্রেফতার করে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়। ১৯৬৮ : ৩ জানুয়ারী: পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামী করে মোট ৩৫জন বাঙ্গালী সেনা ও সিএসপি অফিসারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বিছিন্ন করার অভিযোগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। ১৯৬৮ : ২৮ জানুয়ারী: নিজেকে নির্দোষ দাবী করে আদালতে লিখিত বিবৃতি দেন। এই বিবৃতি পড়ে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে আন্দালন গন অভুঙ্খানে রূপ নেয়। ছাত্র সমাজ ছয় দফার সমর্থনে ১১ দফা দাবী উপস্থাপন করে। ১৯৬৯ : ৩০ জানুয়ারী: উদ্ভুত পরিস্থিতি ঠেকাতে আলোচনার জন্য বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তানী জান্তা সরকার। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন। ১৯৬৯ : ১৫ ফেব্রুয়ারী: ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে মামলার অন্যতম আসামী সাজেন্ট জহুরুল হককে নির্মম ভাবে হত্যা করা হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বাধ ভাঙ্গা বন্যার মতো রাস্তায় নেমে আসে। ১৯৬৯ : ২২ ফেব্রুয়ারী: তীব্র গণআন্দোলনের মুখে সরকার রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য শিরোনামে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়। ১৯৬৯ : ২৩ ফেব্রুয়ারী: ডাকসু এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবকে এক বিশাল সম্বর্ধনা দেয়ার আয়োজন করে। ঐ সভায় শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ১৯৬৯ : ১০ মার্চ: রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেন। গোল টেবিলে ৬ দফার পক্ষে বঙ্গবন্ধু দৃঢ় অবস্থান নেন। তবে ঐ বৈঠক ব্যর্থ হয়। ১৯৬৯ : ২৫ মার্চ: রাওয়াল পিন্ডি গোল টেবিল বৈঠক ব্যর্থ হবার প্রেক্ষিতে আইয়ুব খান ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ইয়াহিয়া সামরিক শাসন জারী করেন। ১৯৬৯ : ২৮ নভেম্বর: জাতির উদ্দেশ্যে এক বেতার ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ এর ১ জানুয়ারী থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন। ঐ বছরের শেষ ভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও ঘোষণা করেন। ১৯৭০ : ১ জানুয়ারী: ১৯৫৮ সালের পর প্রথম রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। বঙ্গবন্ধু প্রথম দিন থেকেই ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন। ১৯৭০ : ৪ জুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে মতিঝিল ইডেন হোটেল প্রাঙ্গনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ একক ভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৯৭০ : ৫ জুন: পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচনী এলাকা বিষয়ে সরকারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে ৩১০টি আসন আর জাতীয় পরিষদে ১৬৯টি আসন নিদির্ষ্ট করা হয়। ১৯৭০ : ১৫ আগষ্ট: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন যথাক্রমে ৭ ও ১৭ ডিসেম্বর। ১৯৭০ : ৮ অক্টোবর: ইসলামাবাদ থেকে ১৯টি রাজনৈতিক দলের প্রতীক ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। স্মরনীয় যে, ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলার সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিলো নৌকা। ১৯৭০ : ২৮ অক্টোবর: বঙ্গবন্ধু বেতার ও টেলিভিশনে নির্বাচনী ভাষণ দেন। তিনি বলে, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়েই আওয়ামী লীগের জন্ম। তার সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই আওয়ামী লীগের বিকাশ । তিনি দেশবাসীর কাছে ছয় দফার পক্ষে ম্যান্ডেট চান। ১৯৭০ : ১২ নভেম্বর: পূর্ব বাংলায় ভয়াবহ ঝড় এবং জলোচ্ছাসে ১০/১২ লাখ মানুষ মারা যান। বঙ্গবন্ধু তার নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করে ত্রাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি এই অঞ্চলের জনগনের প্রতি চরম উদাসীনতা তুলে ধরেন। এই সময় সোনার বাংলা শ্মশান কেনো শিরোনামে তথ্য সম্বলিত একটি পোষ্টার জাতিকে নাড়া দেয়। ১৯৭০ : ৭ ডিসেম্বর: বন্যা-দুর্গত এলাকা বাদে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পায় ৮৮টি আসন। ১৯৭০ : ১৭ ডিসেম্বর: প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তান ২৯৮টি আসন লাভ করে। ১৯৭১: ৩ জানুয়ারী: আওয়ামী লীগের সকল নির্বাচিত সদস্য ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রনয়ন তথা ৬ দফা বাস্তবায়নের শপথ গ্রহণ করেন। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি এই রবীন্দ্র সংগীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বাঙালী জাতির মুক্তির সংকল্প ব্যক্ত করেন। শপথ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সংগীতের পর জয় বাংলা বাংলার জয়। গানটি পরিবেশিত হয়। ১৯৭১ : ১০ জানুয়ারী: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সংগে তিন দফা বৈঠক করেন। ৪দিন পর ফিরে আসার সময় তিনি বলেন শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। ১৯৭১ : ২৭ জানুয়ারী: জুলফিকার আলী ভূট্টো ঢাকা এসে বঙ্গবন্ধুর সংগে কয়েকদফা আলোচনা করেন। কিন্তু ভূট্টোর সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়। ১৯৭১ : ১৩ ফেব্রুয়ারী: এক সরকারী ঘোষণায় বলা হয় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় ৩ মার্চ ১৯৭১ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন। ১৯৭১ : ১ মার্চ: জাতীয় পরিষদ অধিবেশনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক শুরু হয় হোটেল পূর্বানীতে। ঐ দিনই আকস্মিক ভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষনা করেন। সারা বাংলা ক্ষোভে ফেটে পরে। বিক্ষুদ্ধ জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজপথ। বঙ্গবন্ধু এটাকে শাসকদের আরেকটি চক্রান্ত বলে চিহ্নিত করেন। তিনি ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহবান করেন। ১৯৭১ : ২ মার্চ: ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বত:স্ফুর্ত হরতাল পালিত হয়। উত্তাল জনস্রোতে ঢাকা পরিণত হয় এক বিক্ষোভের শহরে। জান্তা সরকার ঢাকা শহরের পৌর এলাকায় সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ জারী করেন। ১৯৭১ : ৩ মার্চ: বিক্ষুদ্ধ জনতা কারফিউ উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। সামরিক জান্তার গুলিতে মারা যান ৩জন আহত হন কমপক্ষে ৬০জন। এই সময় পুরো দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পরিচালিত হতে থাকে। ১৯৭১ : ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক যুগান্তকারী ভাষনে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষনে ষ্পষ্ট হয়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যত। সারাদেশে শুরু হয় এক অভূতপূর্ব অসযোগ আন্দোলন। ১৯৭১ : ১৬ মার্চ: বিস্ফোরণমুখ বাংলাদেশে আসেন ইয়াহিয়া খান। বঙ্গবন্ধুর সংগে তার দীর্ঘ আলোচনা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু তার গাড়ীতে কালো পতাকা উড়িয়ে হেয়ার রোডে প্রেসিডেন্ট ভবনে আলোচনার জন্য যান। ১৯৭১ : ১৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫১তম জন্মদিন। এই দিন ইয়াহিয়া খানের সংগে দ্বিতীয় দফা আলোচনা থেকে ফিরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলে এদেশে জন্ম দিনই বা কি আর মৃত্যু দিনই বা কি আমার জনগনই আমার জীবন। ১৯৭১ : ২৩ মার্চ: কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষনা দেন। সমস্ত সরকারী এবং বেসরকারী ভবনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু এদিন সরকারী ছুটি ঘোষনা করেন। ১৯৭১ : ২৫ মার্চ: পৃথিবীর ইতিহাসে এক নৃশংসতম কালো রাত্রি ২৫ মার্চ। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে মানুষের ঢল নামে। সন্ধ্যায় খবর পাওয়া যায় ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। তার সাড়ে এগারটায় শুরু হয় অপারেশন সার্চ লাইট। ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা। ১৯৭১ : ২৬ মার্চ: ১২-৩০ মিনিট ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হবার আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাবার্তা ওয়ারলেস যোগে চট্টগ্রামের জহুরুল আহমেদ চৌধুরীকে প্রেরণ করেন। চট্টগ্রাম বেতার থেকে আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বানী স্বকন্ঠে প্রচার করেন। পরে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে অবস্থিত অষ্টম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান ঐ ঘোষণা পূণ:পাঠ করেন। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে করাচীতে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৭১ : ২৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন এবং স্বাধীনতার ঘোষণার আলোকে বীর বাঙালী গড়ে তোলে স্বত:স্ফুর্ত প্রতিরোধ। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের এক গৌরবজ্জল অধ্যায়। ১৯৭১ : ১৭ এপ্রিল: তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার ভবের পাড়ার (বৈদ্যনাথ তলা) আমবাগানে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মদ ঘোষণা করেন আজ থেকে (১৭ এপ্রিল) বৈদ্যনাথ তলার নাম মুজিব নগর এবং অস্থায়ী রাজধানী মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি এবং তার অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ : ২৫ মে: ক্রমেই মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হতে শুরু করে। সংগঠিত হয় প্রবাসী সরকার। ২৫ মে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু হয়। এই কেন্দ্রের সিগনেচার টিউন ছিলো জয় বাংলা বাংলার জয়। কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারিত হতে থাকে। এই কেন্দ্র থেকে প্রচারিত শোন একটি মুজিবরের কন্ঠে…… গানটি বাঙালীর উদ্দীপনা বাড়িয়ে দেয়। ১৯৭১ : ৩ আগষ্ট: পাকিস্তান টেলিভিশন থেকে বলা হয় ১১ আগষ্ট থেকে সামরিক আদালতে বঙ্গবন্ধুর বিচার শুরু হবে। এই ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ এবং উদ্বেগের ঝড় বয়ে যায়। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রবাসী বাঙালীরা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী সন ম্যাকব্রাইডকে ইসলামাবাদে পাঠান। কিন্তু পাকিস্তানী জান্তা সরকার বিদেশী আইনজীবী নিয়োগে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। ১৯৭১ : ১০ আগষ্ট: পাকিস্তানী জান্তা সরকার বঙ্গবন্ধুর পক্ষ সমর্থনের জন্য আইনজীবী একে ব্রোহীকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে যখন ২৬ মার্চ ইয়াহিয়া খানের ভাষনের টেপ শোনানো হয় তখন তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে অস্বীকার করেন এবং ব্রোহীকে অব্যহতি দেন। জাতীয় ও আন্তজার্তিক ভাবে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক জনমত তৈরী হয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বপ্ন বস্তবতা স্পর্শ করতে থাকে। ১৯৭১ : ১১ নভেম্বর: বঙ্গবন্ধুকে ইয়াহিয়া খানের সামনে হাজির করা হয়। ইয়াহিয়ার সংগে ছিলেন ভূট্টো এবং জেনারেল আকবর। ইয়াহিয়া করমর্দনের জন্য হাত বাড়ালে বঙ্গবন্ধু বলে দুঃখিত ও হাতে বাঙালীর রক্ত লেগে আছে ও হাত আমি স্পর্শ করবো না। এ সময় অনিবার্য বিজয়ের দিকে এগুতে থাকে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। ১৯৭১ : ২ ডিসেম্বর: বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তির সংগ্রাম যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন লায়ালাপুর কারাগারে ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর সংগে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ঐ সমঝোতা প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেন। ১৯৭১ : ১৬ ডিসেম্বর: ত্রিশ লাখ শহীদ এবং তিন লাখ মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে আসে আমাদের বিজয়। বাঙালী জাতি মুক্ত হয় পরাধীনতার শৃংখল থেকে। কিন্তু মুক্তির অপূর্ণতা রয়ে যায় স্বাধীনতার স্থাপতি তখন নির্জন কারাগারে। ১৯৭২ : ৩ জানুয়ারী: পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জুলফিকার আলী ভূট্টো করাচীতে ঘোষণা করেন শেখ মুজিবকে বিনা শর্তে মুক্তি দেয়া হবে। ১৯৭২ : ৮ জানুয়ারী: বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পান। পিআইয়ের একটি বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধুকে লন্ডনে পাঠানো হয়। ৮ জানুয়ারী ভোরে বঙ্গবন্ধু লন্ডনে পৌছেন। তার হোটেলের সামনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন আমি আমার জনগনের কাছে ফিরে যেতে চাই। ১৯৭২ : ১০ জানুয়ারী: সকালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথের আগ্রহে ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান বাহিনীর এক বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধু নয়া দিল্লী পৌছালে রাষ্ট্রপতি ভি.ভি গিরি এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরাগান্ধী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। বিমান বন্দরে বঙ্গবন্ধু বলেন অশুভের বিরুদ্ধে শুভের বিজয় হয়েছে। ঐ দিন বিকেলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। লাখো মানুষের জনস্রোত, বাঁধভাঙ্গা আবেগে অশ্রসিক্ত জাতিরপিতা বলেন আজ আমার জীবনের স্বাদপূর্ণ হয়েছে ।ঐ দিন জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু হৃদয়কাড়া এক ভাষণ দেন। ঐ রাতেই তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭২ : ১২ জানুয়ারী: দেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবর্তে সংসদীয় শাসন কাঠামো প্রবর্তন করে নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ১৯৭২ : ১২ মার্চ: স্বাধীনতার মাত্র ৫০ দিনের মধ্যে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়। ১৯৭২ : ২৬ মার্চ: শোষনহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকারের মধ্যে দিয়ে প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। ১৯৭২ :২০ এপ্রিল: শুরু হয় গণপরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষনা সম্পর্কিত প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়। ১৯৭২ : ৪ নভেম্বর: গণপরিষদে বাংলাদেশের খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদিত হয়। এ উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলেন বিজয়ের ৯ মাসের মধ্যে শাসনতন্ত্র দেয়া, মানুষের মৌলিক অধিকার দেয়ার অর্থ হলো জনগনের উপর বিশ্বাস করি। ১৯৭২ : ১৬ ডিসেম্বর: নতুন সংবিধান কার্যকর করা হয়। বাতিল করা হয় গণপরিষদ। ১৯৭২ : ৭ মার্চ: নতুন সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতির জনকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৩০০টির মদ্যে ২৯২টি আসনে বিজয়ী হয়। ১৯৭৩ : ৩ সেপ্টেম্বর: আওয়ামীলীগ, সিপিবি ও ন্যাপের সমন্বয়ে ত্রিদলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। ১৯৭৪ : ২৩ সেপ্টেম্বর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালী নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিণষষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন। ১৯৭৫ : ২৫ জানুয়ারী: দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনী বিল পাশ করেন। এই বিলের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭৫ : ২৫ ফেব্রুয়ারী: রাষ্ট্রপতি এক ডিগ্রীর মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সম্মিলনে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে একটি নতুন একক রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ১৯৭৫ : ১৫ আগষ্ট: স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ষড়যন্ত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শহীদ হন।

ডাঃ মরিস বুকাইলি যেভাবে মুসলিম হলেন।




ফ্রাঁসো মিতেরাঁ ১৯৮১-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেণ্ট ছিলেন। তিনি আশির দশকের শেষের দিকে ফিরাউনের মমিকে নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য মিসরের কাছে অনুরোধ জানালেন। মিসরের সরকার তাতে রাজি হলে কায়রো থেকে ফিরাউনের লাশ প্লেনে করে প্যারিসে নিয়ে আসা হল। ফিরাউনের লাশকে ফ্রান্সের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্রের একটা বিশেষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হল, যেখানে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সার্জনরা রয়েছে আর তারা ফিরাউনের মমির ময়নাতদন্ত করে সেটা স্টাডি করবে ও এর গোপনীয়তা উদঘাটন করবে। মমি গবেষণার প্রধান সার্জন ছিলেন প্রফেসর ড. মরিস বুকাইলি। থেরাপিস্ট যারা ছিলেন তারা মমিটাকে পুনর্গঠন অর্থাৎ ক্ষত অংশগুলো ঠিক করতে চাচ্ছিল, আর ড.মরিস বুকাইলি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন যে, কীভাবে ফেরাউন মারা গিয়েছিল! আর কয়েক হাজার বছর ধরে কীভাবে লাশটা অক্ষত রইল। পরিশেষে তিনি ও তাঁর সহযোগিরা সারারাত ধরে লাশ গবেষণা ও পরীক্ষায় আত্মনিয়োগ করলেন। রাতের শেষের দিকে পরীক্ষাগারের রিপোর্ট আসলো। যাতে বলা হয়েছে তার শরীরে লবণের অংশ আছে আর ইহাই সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে, সে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিল আর মৃত্যু বরণের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র (লোহিত সাগর) থেকে তোলা হয়েছিল তারপর লাশ দ্রুত মমি করা হয়েছিল। এখানে ফিরাউনের মমিটি প্রফেসর মরিসকে অবাক করে দিল, যে কিভাবে এই মমি অন্য মমিদের তুলনায় সুরক্ষিত অবস্থায় থাকল, যা এটা সমুদ্র থেকে তোলা হয়েছে। কারণ ভিজা পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে আর প্রতিটি আদ্র বা ভেজা বস্তুকে দ্রুত ধ্বংস করে দিয়ে থাকে। ড.মরিস ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করলেন, যাতে তিনি বললেন: এটা পৃথিবীবাসীদের জন্য বিজ্ঞানের একটা মহা আবিষ্কার। এরপর তিনি ফেরাউনের লাশের তথ্য উদঘাটনে নেমে পড়লেন। একজন ব্যক্তি তাকে বলল যে, মুসলমানদের কুরআনে নাকি ফিরাউনের ডুবে যাওয়া ও তার লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে বিশদ আলোচনা আছে। এই ঘটনা শুনে ডা. মরিস বিস্মিত হয়ে গেলেন এবং প্রশ্ন করতে লাগলেন, এটা কিভাবে সম্ভব? এই মমি পাওয়া গিয়েছে ১৮৮১ সালে, আর কুরআন নাজিল হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে! আর প্রাচীন আরবেরা তো মমি করার পদ্ধতিই জানতো না, মাত্র কয়েক দশক আগে তা আমাদের হাতে আবিস্কৃত হয়। ড.বুকাইলি ফিরাউনের লাশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গভীরভাবে ভাবছিলেন যে, মুসলিমদের কুরআনে কিভাবে ফিরাউনের লাশ সংরক্ষণের কথা এসেছে? তিনি বাইবেলে ফেরাউনের লাশ সম্পর্কে জানতে চাইলেন।তিনি দেখলেন, বাইবেলে ফিরাউন কর্তৃক মুসার পিছু নেয়ার কথা বলা আছে কিন্তু ফিরাউনের লাশের পরিনতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলা নাই। তিনি নিজেকেই প্রশ্ন করছিলেন আর ভাবতে ছিলেন যে, এটা কিভাবে ধারণা করা যায় যে, এই মমি যার সে মুসার (আ.)-এর পিছু নিয়েছিল? আর এটা কেমন করে সম্ভব যে, মুহাম্মদ (সা.) ১৪০০ বছর আগেই এটা সম্পর্কে জানতেন? ডা. মরিস সেই রাতে ঘুমাতে পারলেন না, তিনি তোরাহ (তাওরাত) আনালেন এবং সেটা পড়লেন। তোরাহতে বলা আছে, পানি আসলো এবং ফিরাউনের সৈন্য এবং তাদের যানবাহনগুলোকে ঢেকে দিল, যারা সমুদ্রে ঢুকল তাদের কেউই বাঁচতে পারল না। ড.বুকাইলি আশ্চর্য হয়ে দেখলেন যে, তাওরাতে লাশের সংরক্ষণের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। অতপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি মুসলিম দেশে যাবেন এবং সেখানে প্রখ্যাত মুসলিম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাক্ষাৎকার নিবেন ও আলোচনা করবেন। তিনি তথায় পৌছে ফিরাউনের লাশ ডুবে যাওয়া পরবর্তী সংরক্ষণের যে রেজাল্ট পেয়েছেন তা নিয়ে আলেচনা করেন, তখন একজন মুসলিম বিশেষজ্ঞ পবিত্র কুরআন খুললেন এবং আয়াতটা ড. বুকাইলিকে শুনালেন যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা বলেন, "অতএব, আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।"আল-কুরআন; সুরা:১০,আয়াত-৯২ তিনি এই আয়াতের দ্বারা খুবই প্রভাবিত ও অভিভূত হয়ে যান এবং কয়েক বছর ধরে আরবি ভাষা,আরবি সাহিত্য ও কুরআনের অনুবাদ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা ও অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে যান। তিনি কুরআন গবেষণা করে দেখেন যে, আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বের কুরআন আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে পুরো সঙ্গতিপূর্ণ।কী আশ্চর্য,কী অবাক করা কথা! কুরআন মহাসত্য। আসমানী কিতাব! তিনি উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করলেন যে, আমি ইসলামে প্রবেশ করেছি এবং আমি এই কুরআনে বিশ্বাসী। সুবহানাল্লাহ! ইসলাম গ্রহনের পর তিনি একটি মহামূল্যবান বই লেখেন যার নাম "বাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান" যা পৃথিবীর ৫০টি নামকরা ভাষায় অনুবাদ হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। যা পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের অবাক করে দেয়। (বাংলা ভাষায়ও বইটি পাওয়া যায় আপনারা পড়তে পারেন।) ডা. মরিস বুকাইলি ফ্রান্স ফিরে গেলেন এক ভিন্ন অবস্থায়। ফ্রান্সে ১০ বছর তিনি আর কোন ডাক্তারি প্রাকটিস করেন নি বরং এই সময়ে তিনি পবিত্র কুরআন নিয়ে গবেষনা করেছেন। সব শেষে তিনি পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারলেন যাতে বলা আছে, "এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পেছন দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।" সুরা-৪১, আয়াত-৪২ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এভাবেই হেদায়াত দান করেন। আল্লাহ আমাদেরকেও কোরআন বোঝার ও তদানুযায়ি জীবন গড়ার তাওফিক দান করুণ। আমিন। তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট,